চম্পক দত্ত: সঠিক ব্যক্তিকে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী করা হয়নি। নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটাভুটিতে জিতলেও সেই প্রার্থী টিকিট পেল না। টিকিট পেল অন্য এক ব্যক্তি। এমনই অভিযোগ তুলে বুথের সমস্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ইস্তফা দিল দল থেকে। ইতিমধ্যে অঞ্চল সভাপতিকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে ইস্তফা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অঞ্চল তৃণমূলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও পোস্ট হল সেই মেসেজ। এই ঘটনায় শুরু শোরগোল।
ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সনপুর বুথের। সনপুর বুথের তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, ওই এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন লক্ষ্মী পন্ডিত। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে আলপনা খামরুই ভোটাভুটিতে জয়ী হয়। তাই কেন আলপনাকে টিকিট দেওয়া হল না? এই দাবি তুলে ইস্তফা দিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। যদিও এই সনপুরে, একই আসনে লক্ষ্মী পন্ডিত ও আলপনা খামরুই দুজনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সনপুর বুথ সভাপতি স্বপন হাজরা ও অঞ্চল কৃষক ক্ষেত মজুর সভাপতি সহ তৃণমূল কর্মীদের এই ইস্তফায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
সমস্ত ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মুফু সরকার। তিনি বলেন, ঘটনা একটা ঘটেছে। তবে আলোচনার মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। বড় দল তাই একটু সমস্যা হচ্ছে। জানা গিয়েছে,আলপনা খামরুই সনপুর এলাকারই বাসিন্দা। অপরদিকে লক্ষ্মী পন্ডিত অন্য সাংসদ এলাকার বাসিন্দা। তাই স্থানীয় আলপনা খামরুইকে প্রথমে প্রার্থী ঠিক করা হয়। সেইমতো নমিনেশন জমা দেন তিনি। কিন্তু পরে ওই একই আসনে লক্ষ্মী পন্ডিতকে দিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ানোর ঘটনাকে ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। দল থেকে ইস্তফা বুথ নেতৃত্বেদের। আজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এখন দেখার একই আসনে দলের দুই প্রার্থীর অবস্থান কী হয়।