কিরণ মান্না: গত ৯ মে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানার চন্দনপুরের এক কাজুবাগান থেকে এক যুবকের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে রামনগর থানার পুলিস। ঘটনার দু’দিন পর কাছাকাছি এলাকা থেকেই উদ্ধার হয় মাথার খুলি। ওই নৃশংস খুন ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তদন্তে নেমে অবশেষে ১৫ দিনের মাথায় খুনের সঙ্গে জড়িত ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল রামনগর থানার পুলিস।
শুক্রবার রাতে একযোগে তিনটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। রামনগরের হামিরপুর এলাকা থেকে রাজীব বর, বারঙ্গা এলাকা থেকে সামিল ইসলাম এবং দীঘা থানার মণ্ডলা গ্রাম থেকে সোমনাথ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন রামনগর থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল। সহায়তা করেন ভগবানপুর, দীঘা ও মন্দারমণি থানার ওসিরা।
গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করলেও এখনও পর্যন্ত খুনের সঠিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিস। তবে তদন্তে উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের সময় গোটা ঘটনাটি অভিযুক্তরা মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করে। সেই রেকর্ডিং এখন পুলিসের হাতে রয়েছে।
আরও পড়ুন-নিম্নচাপের ফলা! কেরালায় মৌসুমী বায়ু ঢুকতেই, রাজ্যে কবে বর্ষা? জানিয়ে দিল আলিপুর...
আরও পড়ুন-হস্টেলেই হার্ট অ্যাটাক ফিফথ ইয়ারের ছাত্রীর, অ্য়াম্বুল্যান্স এলেও...
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম রাজীব দাস। তাঁর বাড়ি দীঘা থানার মণ্ডলা গ্রামে। নিহতর দাদু সুশান্ত দাস বলেন, হঠাত্ আমার ছেলে আমাকে ফোন করে বলল, রাজীব ফোন ধরছে না। আমার দীঘায় দোকান রয়েছে। ওখানে আমার ছেলে ছিল। ওর কাছে পুলিস এসে দুটো কাগজ দেখাল। দেখে আণার ছেলে কাঁদছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কী হয়েছে? ছবিতে দেখালাম রাজীবের হাত। ছেলে কাঁদতে কাঁদতে বলল রাজীবকে কেউ মেরে দিয়েছে। খুব কষ্ট করে মানুষ করেছিলাম। দীঘার একটি হোটেল কাজ করত। বয়স ২৫ হবে। কে মেরেছে বুঝতে পারছি না। কিছু বুঝতে পারছি না কেন মারল। খবরের কাগজ দেখে সব জানতে পেরেছি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)