চম্পক দত্ত: শিউরে ওঠার মত ঘটনা। নৃশংসভাবে মারধর করা হচ্ছে এক শিক্ষককে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ২-নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামে। দিতে হবে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা! কিন্তু তাতেও রেহাই নেই। মোটা দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা হাত-পা। মাথা ফেটে ঝরছে রক্ত। কিন্তু তার উপরই চলছে এলোপাথাড়ি মারধর। কেউ কেউ আবার মারতে মারতে বলছে, 'তোকে তো মেরেই ফেলব বলে ভেবেছিলাম!' মারের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছে অনেকেই। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে প্রচুর মানুষ জমায়েত। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছে না উদ্ধারে! বেধড়ক মারধরের সেই ভিডিয়ো এখন ভাইরাল। সবার মোবাইলেই ঘুরছে। কিন্তু কেন এমনভাবে মারধর করা হচ্ছে ওই শিক্ষককে?
জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে কেশপুর থানার নেড়াদেউলের ওই স্কুল শিক্ষক প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এদিকে ওই শিক্ষক বিবাহিত। কয়েক দিন আগে ওই শিক্ষক শ্রীরামপুর গ্রামে প্রেমিকা কলেজছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসলে, তখনই শিক্ষককে ধরে ফেলেন ছাত্রীর বাড়ির লোকেরা। তারপরই চলে বেধড়ক মারধর। এই ঘটনায় সালিশি সভাও বসে। সালিশি সভায় নিদান দেওয়া হয় যে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু তারপরেও মারের হাত থেকে রেহাই মেলেনি।
বর্তমানে ওই শিক্ষক আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন শাসকদলের স্থানীয় কিছু নেতা ও গ্রামের বেশ কিছু মাতব্বর। আর তাই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনে কিছু করছে না কেন? উঠছে প্রশ্ন। যদিও পুলিস সূত্রে খবর, চন্দ্রকোণা থানায় এখনও এই ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।