পিয়ালি মিত্র: বাংলাদেশি মডেল অভিনেত্রীর ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক। নৈহাটি থেকে গ্রেফতার সৌমিক দত্ত
কে এই সৌমিক দত্ত?
শান্তা পালকে ভুয়ো ভারতীয় নথি বানিয়ে দিতে সাহায্য করে। বাংলাদেশের মডেল শান্তা পালের আধার কার্ড বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগ গ্রেফতার নৈহাটির সৌমিক দত্ত।
নৈহাটি পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অটল বিহারী সরকার রোডের বাসিন্দা সৌমিক দত্ত দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জেরক্স এর দোকান চালায়। তার বিরুদ্ধে এক বাংলাদেশী মহিলাকে এ দেশের নানান ডকুমেন্টস তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে তাকে আজ ভোররাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশের এ টি এস।
এলাকাবাসীর দাবি:
বেশ কয়েকদিন ধরে দোকান খুলছে না সে। এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত সৌমিক। এ বিষয়ে নৈহাটি বিধায়ক সনৎ দে জানান, গোটা বিষয়টা সত্যি কি মিথ্যা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।তবে নৈহাটি থানার পুলিশকে বলব, নৈহাটি এলাকায় যত সাইবার কাফে আছে তাদেরকে সতর্ক করার জন্য।
ফেসবুকে, আধার এবং রেশন কার্ডের সমস্যার সমাধান করা হয় বলে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ধৃত সৌমিক। সেটা দেখেই শান্তা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। চব্বিশশো (২৪০০) টাকা দিয়ে শান্তার আধার এবং রেশন কার্ড বানিয়ে দেয় সৌমিক। শান্তার আগে একটা বর্ধমানের ঠিকানায় আধার কার্ড ছিল। সেটা দিয়েই এই নতুন আধার কার্ড তৈরি হয়।
পুলিস সূত্রের খবর, ভুয়ো আধার সহ পরিচয়পত্র তৈরির চক্রের সঙ্গে যুক্ত সৌমিক দীর্ঘদিন ধরেই। তাঁর বাড়ি থেকে বিভিন্ন নাম ঠিকানায় থাকা ১৩টি ভোটার কার্ড, ৫টি আধার কার্ড, ১টি ডিজিটাল রেশন কার্ড পাওয়া গিয়েছে।
১৮ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত সৌমিকের।
বাংলাদেশী মডেল শান্তা পাল কাণ্ডে আরও একজনকে পূর্ব বর্ধমানের মেমারী থেকে আটক করলো কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। জাল নথি ব্যবহার করে শান্তা পালকে আধার কার্ড করে দেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়। ধৃতের নাম সেখ মমতাজউদ্দিন।বাড়ি মেমারী শহরের কাশিয়াড়ায়।
ধৃতের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে জাল নথি,বিভিন্ন ধরনের জাল স্ট্যাম্প এমনকি গেজেটেড অফিসারের নামে বানানো ট্যাম্প, আইনজীবির জাল প্যাড ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেখ মমতাজউদ্দিন অনলাইন সাইবার ক্যাফের আড়ালে জাল নথি তৈরী করে আধারকার্ড বানিয়ে দিত বলে পুলিশসূত্রে জানা গেছে। ২০১৯ সালে মেমারিতে আসে শান্তা পাল।আগেই মমতাজের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।মমতাজই জাল নথি ব্যবহার করে শান্তাকে আধার কার্ড তৈরী করে দেয়।
ধৃতের নাম মুমতাজউদ্দিম। শান্তা পালের দুটো ভারতীয় আধার কার্ড ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল বর্ধমানের। সেই বর্ধমানের আধার কার্ড ও একটি ভোটার কার্ড বানিয়ে দিয়েছিল এই ব্যক্তি।
শান্তার কুকীর্তি:
বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে কলকাতায় এসে ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড তৈরি করে ভারতে থাকতে শুরু করেছিলেন শান্তা পাল। পরবর্তীতে লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এরপর জানা যায় ওই যুবতী একসময় বাংলাদেশের বিমান সংস্থায় চাকরি করলেও তিনি বাংলাদেশের নামী মডেল ছিলেন। বাংলাদেশের একাধিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জিতেছিলেন শান্তা। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের হয়ে ইন্দো বাংলা বিউটি প্রেজেন্টে যোগ দেন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে মিস এশিয়া গ্লোবাল হন। শুরু করেছিলেন অভিনয়ও। সেই সময়ই যোগ দেন বাংলাদেশের বিমান সংস্থায়।
যদিও ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২১’ প্রতিযোগিতায় নেমে ঢাকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন শান্তা। ওই সময় থেকে বিমান সংস্থার চাকরিও করতেন না। এমনকী, গত দু’বছরে তামিল ছবি ও টলিউডের বাংলা ছবিতে শান্তা অভিনয় করেছিলেন। সই করেছিলেন ওড়িয়া ছবিতেও। এরপর কয়েকটি সিরিয়ালেও অভিনয়ের চেষ্টা করছিলেন শান্তা। গত মাসে কলকাতা থেকে শান্তা পালকে গ্রেফতার করে পুলিস। এবার জালে আরেক যুবক।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)