বরুণ সেনগুপ্ত: বিস্ফোরক শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি বলছেন, 'আমার নামে যদি কেউ প্রভাবশালী হয়, তাহলে বরদাস্ত করব না। একজন বাস কন্ডাকটর কীভাবে ৫০ বিঘা জমির মালিক হয়?' প্রশ্ন তুলেছেন খড়দহের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়। সোদপুরের এক জনসভায় বিস্ফোরক শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, 'আমাকে ব্যবহার করে কেউ সম্পত্তি বাড়াক, তা চাই না। প্লিজ প্লিজ প্লিজ। নির্বাচনে জয়ী করেছেন আপানারা, আর ভাববেন না যে আমার জীবনযাত্রা কেমন? যার কিছু ছিল না, সে হঠাৎ করে সম্পত্তির মালিক হয়ে গেল। একজন বাসের কন্ডাকটর সে হঠাৎ ৫০ বিঘার মালিক হয়ে গেল! এ কখনও সম্ভব হয়? কোথা থেকে হয়? কে দিচ্ছে টাকা?'
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের ১৯ নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধির খতিয়ান নিয়ে মামলা চলছে। কীভাবে বাড়ছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি? এই মর্মে ২০১৭ সালে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলা দায়ের করেন জনৈক বিপ্লব কুমার চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলাতে ইডি-কেও পার্টি করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১১ সালে ভোটের সময় শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা সম্পত্তির যে খতিয়ান দিয়েছিলেন, ২০১৬ সালে দেখা যায় তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সেই হলফনামাকে হাতিয়ার করেই, তারপর তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান খতিয়ে দেখতে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা।
কে কে আছেন এই ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর তালিকায়? বর্তমান অনেক মন্ত্রী আছেন। আবার কেউ কেউ প্রাক্তন মন্ত্রী। তালিকায় আছে ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, গৌতম দেব, অরূপ রায়, শিউলি সাহা, ব্রাত্য বসু, শোভন চট্টোপাধ্য়ায়, অর্জুন সিং, ইকবাল আহমেদ, স্বর্ণকমল সাহা, জাভেদ আহমেদ খান, অমিত কুমার মিত্র, আব্দুর রজ্জাক মোল্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সবস্যাচী দত্ত, বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম। সেইসঙ্গে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্য়ায় ও সাধন পান্ডের নামও ছিল। এখন এই মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা।
সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিষয়টি দেখার আর্জি জানান তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি মামলা আর শুনতে পারবে না কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাটি এবার শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।