পিয়ালি মিত্র: খোঁজ মিলেছে বিষ্ণুপুরের পরিয়ায়ী শ্রমিক বাবাই সর্দারের। রবিবার দুপুরে পরিবারকে ফোন করে জানায় নাগপুরের তাঁকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটকে রেখেছে। পরিবারের তরফে বেশ কিছু নথি পাঠানো হয়। পরে সন্ধ্যায় ফোন করে জানায় গোটা বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ হতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই বাবাইয়ের খোঁজে মুম্বই গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ডায়মন্ড হারবার পুলিসের একটি দল রবিবারই মুম্বই পৌঁছয়।
পরে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিষ্ণুপুর বাবাই সর্দারের খোঁজ মিলেছে নাগপুরের ডিটেনশন ক্যাম্পে। রবিবার বেলা ১১ টায় বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে বাবাই। পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। বাবা দেবু সর্দার বলেন, সাংসদ-বিধায়ককে ধন্যবাদ। পরিবারের দাবি, বছর তিনেক আগে কাজের খোঁজে মুম্বই যান বাবাই। সেখানে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন।
পরিবারের অভিযোগ, বাংলাদেশি সন্দেহে বাবাইকে মুম্বইয়ে আটকে রাখা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার পুলিসের দ্বারস্থ পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার। তিনি যে বাংলাদেশি নন, তার জন্য জন্মের সার্টিফিকেট, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড সহ আরও কয়েকটি নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল পুলিস। সেসব পাওয়ার পরই ক্যাম্প থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
এদিন মুম্বইয়ে আটকে থাকা শ্রমিক বাবাই সর্দারের বাবা-মা বলেন, 25 জুলাই ফোনে তাদের সঙ্গে ছেলের শেষ কথা হয়েছিল । ওর কাছে ভোটার পরিচয়পত্র-সহ সমস্ত নথিপত্র রয়েছে । 1936 সালে ভারতেই ওর দাদার জন্ম । তার কাছে বাবা-মায়ের জন্মের প্রমাণ রয়েছে এবং আমরা বহু বছর ধরে জুলপিয়ায় বাস করছি । আমি ভয় পাচ্ছি যে আমার ছেলেকে কেবল বাংলা বলার কারণে জোর করে বাংলাদেশে নির্বাসিত করা হবেম। অন্যথায়, আটকের সময় তার জমা দেওয়া নথিগুলি মুম্বই পুলিশ কেন উপেক্ষা করেছিল ? আমরা চাই না যে আমাদের ছেলে আর মুম্বই বা বাংলার বাইরে কাজ করুক ।"
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)