Home> রাজ্য
Advertisement

East Midnapur: শুভেন্দুর জেলায় প্রায় সাফ বিজেপি, সমবায়ের ভোটে বিপুল জয় তৃণমূলের

East Midnapur: কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মন্ডল বলেন, “মানুষ চায় না তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আসুক। চুরি-দুর্নীতিতে ভরা তৃণমূলের নেতারা হুমকি ও ভোট লুটের মাধ্যমে এই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।

East Midnapur: শুভেন্দুর জেলায় প্রায় সাফ বিজেপি, সমবায়ের ভোটে বিপুল জয় তৃণমূলের

কিরণ মান্না: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার চোর পালিয়া সমবায় সমিতি নির্বাচনে বিপুল জয় অর্জন করল তৃণমূল কংগ্রেস। মোট ৬৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই জয়লাভ করেছে ৬৫টি আসনে, বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২টি আসন। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সবুজ আবির মেখে বিজয় উৎসবে মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা।

সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে পরিচালন কমিটির ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল নাগাদ ভোট গণনার পর স্পষ্ট হয়ে যায় তৃণমূলের একচ্ছত্র দখল। এই নির্বাচনে বাম ও বিজেপি একজোট হয়ে লড়াইয়ের কথা উঠলেও, জনসমর্থনের অভাবে তারা ধোপে টিকতে পারেনি। যদিও সিপিআইএমের জেলা নেতা ঝাড়েশ্বর বেরা জানিয়েছেন জোটের অভিযোগ ঠিক নয়, তৃণমূল সন্ত্রাস করেছে, জিততে পারবে না ভেবে ভোট লুট করে জয় লাভ করেছে।

fallbacks

এলাকার বিধায়ক ও বিশিষ্ট সমবায়ী নেতা তরুণ কুমার মাইতি জানান, “সারা বছর তৃণমূল মানুষের পাশে থাকে। বিজেপির সন্ত্রাস ও অন্যায় কাজে মানুষ বিরক্ত। তাই মানুষ এবার উন্নয়নকেই বেছে নিয়েছে।”

বিশেষভাবে নজর কেড়েছে জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল। এই অঞ্চলটি বিজেপির দখলে থাকলেও, সেখান থেকেও ব্যাপক ভোটে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয় পান।

আরও পড়ুন-পহেলগাঁও-কাণ্ডে নয়া মোড়? 'কেন সেদিন দোকান খোলেননি?' গোয়েন্দার ঠান্ডা প্রশ্নের মুখে পড়ে দোকানদার বললেন...

অন্যদিকে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মন্ডল বলেন, “মানুষ চায় না তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আসুক। চুরি-দুর্নীতিতে ভরা তৃণমূলের নেতারা হুমকি ও ভোট লুটের মাধ্যমে এই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।”

অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে সমবায় সমিতির নির্বাচনে হারের মুখ দেখতে হল বিজেপিকে। এই জেলার সুতাহাটা ব্লকের অন্তর্গত চৈতন্যপুর অঞ্চলের ‘বরদা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড’-এর পরিচালন সমিতির নির্বাচনে পরিচালন কমিটির সব আসনের জয়ী হল তৃণমূলের প্রার্থীরা।

আরও পড়ুন-অবিশ্বাস্য! জঙ্গিরা যখন অপারেশনে, তখন ট্যুরিস্টদের তাড়িয়ে বন্দুকের নলের দিকে আনছিল দুই 'পর্যটক'ই...

ওই সমবায় সমিতির মোট আসন সংখ্যা ১২টি। তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ছিলেন ১২টি আসনেই। রাজ্যের শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বদের দাবি তাঁদের হারাতে গোপনে জোট করে সিপিএম ও বিজেপি । সেই জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা ছিলেন ১১জন। আর বাম শিবিরের প্রার্থী ছিলেন ৩ জন। ফলাফলে দেখা যায় সব আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।

fallbacks

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 

Read More