নিজস্ব প্রতিবেদন: কালজানি নদী পেরিয়ে ওঁরা ভোট দিতে গেলেন মেন্দাবাড়ি পঞ্চায়েত এলাকায়।
অসেতুসম্ভব দূরত্ব নয়। কিন্তু সামান্য দূরত্বই কখনও কখনও কঠিন হয়ে পড়ে। যেমন হয়ে পড়েছে সাঁতালি নাকাডালার এই মানুষগুলির কপালে। দীর্ঘদিন ধরে সেতু চেয়ে সেতু পাননি তাঁরা। নদী পেরোতে গিয়ে মারাও গিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তবু আরও একবার এই দূরত্ব পেরিয়েই ভোট দিলেন তাঁরা। দিলেন সেতুবন্ধের প্রত্যাশায়।
ভোটদান (casting vote) গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই অধিকার প্রয়োগের মধ্য়ে গৌরব আছে। কিন্তু শুধু সেই গৌরবের জন্য নদী পেরিয়ে পায়ে হেঁটে ভোট দিলেন আলিপুরদুয়ারের (alipurduar) এই অঞ্চলের মানুষ, তা নয়। তাঁদের এবারের ভোটদানের মধ্যে রয়েছে নীরব প্রতিবাদ। রয়েছে দাবিও। গত পঞ্চায়েত ভোটে নদী পেরিয়ে ভোট দিতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে প্রাণ হারিয়েছিলেন এই এলাকার দুই ব্যক্তি। তার পর থেকে কালজানি নদীর উপর একটি সেতুর কথা বারবার বলে আসছেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসনের কাছে দরবার করে আসছেন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: সমস্যা Central Force-কে নিয়ে নয়, গোলমালের শিকড় দিদির উস্কানি: Modi
সেতু না পেয়ে বিরক্ত তাঁরা। এই সময়ে যেহেতু নদীতে জল কম থাকে, তাই গ্রামবাসীরা বাঁশ দিয়ে কোনও রকমে একটি সাঁকো বানিয়ে চলাচল করেন। এবারেও করছেন। সাঁকোয় শুধু সাইকেল আর বাইকই চলাচল করতে পারে। গ্রামবাসীরা জানান, এই গ্রাম থেকে মেন্দাবাড়ি যাওয়ার সড়ক রয়েছে। কিন্তু তাতে ১৫-১৬ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় তাঁদের। সময় ও পরিশ্রম দুটোই বেড়ে যায় বলে তাঁদের পক্ষে ওই পথ ধরা সম্ভব হয় না।
এখন গ্রামের মানুষের দাবি, যাঁরাই সরকারে আসুক, তারা যেন এখানে একটি সেতু তৈরি করে দেয়। এতদিনের বঞ্চনা ও গত পঞ্চেয়েতের (panchayat vote) শোক ভুলে তাই সেই আশাতেই বুক বেঁধে এবারও তাঁরা অনেক পথ পেরিয়ে দিয়ে এলেন ভোট।