জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইরান ও ইসরায়েল একে অন্যের দিকে একের পর এক মিসাইল দেগে চলেছে। এদের মধ্যে রয়েছে কিছু হাইপারসনিক মিসাইল। দুপক্ষের মিসাইল হামলা ছত্রখান দুদেশ। পরিস্থিতি ও পাল্লা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের মিসাইল ব্যবহার করা হয়। সেই অনুযায়ী তৈরি করা হয় ব্যালিস্টিক মিসাইল, হাইপারসনিক মিসাইল ও ক্ুইস মিসাইল।
ব্যালিস্টিক মিসাইল
লম্বা দূরত্বে হামলা করতে ব্যবহার করা হয় ব্যালিস্টিক মিসাইল। এই ধরনের মিসাইলের নূন্যতম পাল্লা হয় ১০০০ কিলোমিটার। উত্ক্ষেপণের এই মিসাইল প্রথম বায়ুমণ্ডলের উপরে উঠে যায়। তার পর সেটি নেমে আসে লক্ষ্যবস্তুর উপরে। এই সময়ে এদের গতি হয় অত্যন্ত বেশি। কখনও কখনও তা পেরিয়ে যায় ম্যাচ-৫ পর্যন্ত। অর্থাত্ শব্দের গতির(6174 km/h) থেকে ৫ গুণ বেশি। এই ধরনের মিসাইল পরমাণু ও কনভেনশনের অস্ত্র বহন করতে পারে। ভারতের অগ্নি-৫ এই ধরনের মিসাইল।
হাইপারসনিক মিসাইল
হাইপারসনিক মিসাইলের গতি ম্যাচ ৫ এর থেকে বেশি। অর্থাত্ শব্দের থেকে অনেকগুণ বেশি। এই মিসাইলের বিশেষত্ব হল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে এটিকে ঠেকানো খুব মুসকিল। এই ধরনের মিসাইলের পাল্লা হতে পারে ৫০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। অত্যন্ত নীচু দিয়ে এতটাই গতিতে এই মিসাইল ছুটে যায় যে তার ঠেকানো প্রায় অসম্ভব। পুরমাণু ও অন্যান্য অস্ত্র বহন করতে পারে। খুব কম দেশের হাতেই এই ধরনের মিসাইল রয়েছে। ভারতও এই ধরনের মিলসাইল তৈরির করা চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন-বড় ভুল করে ফেললেন ট্রাম্প, ইরানে বোমা ফেলে খামেইনির হাতে তুলে দিলেন মোক্ষম অস্ত্র! কেন?
আরও পড়ুন-দেশের ৫ আসনের উপনির্বাচনে বিপুল জয় আপের, কালীগঞ্জ তৃণমূলের, কোথায় দাঁড়িয়ে বিজেপি?
ক্রুইস মিসাইল
এই ধরনের মিসাইল থেকে একটি জেট ইঞ্জিন। খুব কম উচ্চতায় ওড়ে। কম পাল্লার টার্গেটে হামলা করতে এই ধরনের মিসাইল ব্যবহার করা হয়। ২০০-১০০০ কিলোমিটার দূরত্বের টার্গেটের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়। নেভিগেশন সিস্টেম থাকার জন্য এটি নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে পারে। ভারতের ব্রহ্মস, রাশিয়ার ক্যালিবার ও আমেরিকার টোমাহক এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)