নিজস্ব প্রতিবেদন: বিগত ৪ বছরে ইন্টারনেট বন্ধে বিশ্বের তালিকায় এগিয়ে ভারত। ৪০০ -র বেশি বার বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। গত মাসে বেশ কিছু ঘটনার জেরে ৭ বার ভারতে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট। যার মধ্যে পাঁচ বার কৃষক আন্দোলনের জেরে। বছর খানেক আগে সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছিল ইন্টারনেট পরিষেবা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পরে। কিন্তু কৃষকদের দাবি না মানতে বহুবার কেন্দ্র বন্ধ করেছে ইন্টারনেট পরিষেবা। যা বিশ্বের দরবারে সমালোচিত হয়েছে।
ভারতের অর্থনীতিকে আঘাত করেছে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। top10vpn রিপোর্টে উল্লেখ করেছে ৮,৯২৭ ঘণ্টা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধে খরচ হয়েছে ২.৭ বিলিয়ন। ঘণ্টায় ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি টাকা।
ফোর্বসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে একমাত্র ভারত তার ইন্টারনেট ঘন ঘন বন্ধ করে দেয়। ছিনিয়ে নেয় গণতান্ত্রিক অধিকার। জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতের মধ্যে সর্বাধিক ইন্টারনেট বন্ধের ছবি দেখা গিয়েছে। তারপরে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রেও ইন্টারনেট শাটডাউনের মতো একাধিক ঘটনা অব্যাহত ছিল। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৭ সালে ২১ বার শাটডাউন, ২০১৮ সালে ৫ বার এবং ২০১৯ সালে ছয় বার তিন দিনের বেশিদিন বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা।
The Department of Telecommunications (DoT) কোন অঞ্চলে ইন্টারনেট সহ টেলিযোগাযোগ পরিষেবা সাময়িক স্থগিতের অনুমতি দেয়। স্থগিতাদেশ একমাত্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বা রাজ্য স্বরাষ্ট্রসচিব জারি করতে পারেন।