জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহাকাশের গহীন অন্ধকার থেকে পৃথিবীতে সিগন্যাল পাঠাচ্ছে কেউ! বেশ স্ট্রং সেই সিগন্যাল! আর তারপরই প্রশ্ন উঠছে কে পাঠাচ্ছে সেই সিগন্যাল? কোন ভিনগ্রহী নাকি কোনও বামন তারা? উত্তর খুঁজছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা... মহাকাশের গভীরে কোথাও কোনও একটি অজানা 'বস্তু' থেকে নিয়মিত বিরতিতে একটি শক্তিশালী সংকেত পেয়ে নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হতবাক।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটি মহাকাশে অনেক দূরে থাকা কোনও একটি মহাজাগতিক বস্তু যা ৪৪ মিনিটের ব্যবধানে ২ মিনিটের জন্য রেডিও তরঙ্গ এবং এক্স-রে নির্গত করছে! বিশ্বাস করুন বা না করুন, এটি সত্য। নাসা এই অজানা এবং অনাবিষ্কৃত বস্তুর নাম দিয়েছে ASKAP J1832- 0911। অস্ট্রেলিয়ান স্কয়্যার কিলোমিটার অ্যারে পাথফাইন্ডার (ASKAP) এবং নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি এই ঝলমলে সংকেতগুলির ছবি তুলে নিয়েছে। কিন্তু তাদের কেউ-ই এই 'রহস্যময় বস্তু' সম্পর্কে বিশদে কিছুই জানাতে পারেনি।
'নেচার' নাসায় প্রকাশিত ASKAP-র অনুসন্ধান
এই সংকেতগুলি এতটাই অদ্ভুত যে বিজ্ঞানীরা নিজেরাই হতবাক। তাঁরা সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত। এই অবিশ্বাস্য ঘটনা তাঁরা নিজেরাই এখনও ঠাওর করে উঠতে পারছেন না। তবে, এটা স্পষ্ট যে এই অদ্ভুত সংকেতগুলি মহাজাগতিক কোনও নতুন রহস্যের পর্দা উন্মোচন করতে পারে। যার খোঁজ আগে কেউ কখনও পায়নি। নাসার নেচার ম্যাগাজিনে ASKAP-এর এই অনুসন্ধান প্রকাশিত হয়েছে।
এটা কি বামন তারা?
অস্ট্রেলিয়ার পার্থের কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যান্ডি ওয়াং এক বিবৃতিতে বলেছেন, "এই বস্তুটি আমরা আগে যা দেখেছি তার থেকে আলাদা।" তিনি আরও বলেছেন যে, "এটি একটি ম্যাগনেটার (শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র সহ একটি মৃত নক্ষত্রের মূল) অথবা একটি বাইনারি সিস্টেমে একজোড়া তারা হতে পারে যেখানে দুটির মধ্যে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র যুক্ত শ্বেত বামন। একটি বামন নক্ষত্র একটি কম ভরের নক্ষত্র।" তবে এটি ভিনগ্রহী কিনা, সেই বিষয়ে কেউ কিছু বলেননি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)