Home> প্রযুক্তি
Advertisement

Decoding Titan: টাইটানিক দেখতে গিয়ে 'ভ্যানিশ' সাবমেরিন, ৫ যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ জলযান!

পাঁচজন পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া সাবমেরিনটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রবিবার সকালেই ৫ সদস্যদের নিয়ে টাইটানিকের দর্শনে নামে ওই যান। জানা যায়, ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর এটির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।

Decoding Titan: টাইটানিক দেখতে গিয়ে 'ভ্যানিশ' সাবমেরিন, ৫ যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ  জলযান!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টাইটানিক দুর্ঘটনার ১১১ বছর অতিক্রান্ত। কিন্তু সেই অন্ধকার ইতিহাসের প্রতি মানুষের টান রয়ে গেছে আজও। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষকে কেন্দ্র করে আটলান্টিক মহাসাগরে বর্তমানে যেমন একাধিক অনুসন্ধান চলছে, তেমনই পর্যটক ও ক্রুদের নিয়েও সেখানে যাওয়া হয়। প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত একটি সাবমার্সিবল সাবমেরিন যায় ইতিহাসকে বারংবার ছুঁয়ে দেখতে। কিন্তু এবার সেখানেই বিপর্যয়৷ 

আরও পড়ুন, চাঁদে রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব, কারা তারা? কী তাদের পরিচয়? বাড়ছে রহস্য!

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমসূত্রে খবর, পাঁচজন পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া সাবমেরিনটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রবিবার সকালেই ৫ সদস্যদের নিয়ে টাইটানিকের দর্শনে নামে ওই যান। জানা যায়, ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর এটির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। OceanGate Expeditions এর তরফে এই ট্যুরের আয়োজন করা হয়েছিল। এই টাইটান সাবমেরিনটি একটি ৫-ব্যক্তি সাবমার্সিবল। যা জলের নিচের অঞ্চল জরিপ, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত হয়। যা ক্রুদের ৪ হাজার মিটার পর্যন্ত গভীরতায় নিয়ে যেতে সক্ষম। 

বন্দর থেকেই এই সাবমেরিনগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। টাইটানের ক্ষেত্রে, ওভারহেড শিপ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ১০ হাজার ৪৩৪ কেজি ওজনের টাইটান কার্বন ফাইবার এবং টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি। এটিতে একটি লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম রয়েছে যা ক্রুদের ৯৬ ঘন্টা ঘণ্টা প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দিতে সক্ষম। ডুবোজাহাজটি ৩ নট ( অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫.৫ কিলোমিটার) গতিতে চলাচল করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইতিমধ্যে বেশ কিছুটা অক্সিজেন ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে। সাবমেরিনটিতে আছেন ব্রিটেনের কোটিপতি ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং। সাবমেরিনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে পর্যটন সংস্থা ‘ওয়ানগেট’–এর তরফে। তারাই সাবমেরিনে টাইটানিক দর্শনের আয়োজন করেছিলেন। সংস্থার পাশাপাশি তল্লাশিতে হাত লাগিয়েছে আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং কানাডার সেনা।

যেখানে সাবমেরিনটির খোঁজ করা হচ্ছে, সেখানে সমুদ্রে তিন থেকে ছয় ফুট উঁচু ঢেউ রয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকারীদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। জানা গেছে, পর্যটক প্রতি টিকিটের দাম ভারতীয় মুদ্রায় দু’কোটিরও বেশি! ওই পর্যটন সংস্থার ওয়েবসাইট বলছে, ২০২৪ সালে আরও দু’বার টাইটানিক দর্শনে নিয়ে যাবে তারা। কিন্তু টাইটানিক দর্শনে গিয়ে ‘‌টাইটান’‌–ই যে নিখোঁজ হয়ে গেল।

আরও পড়ুন, AI Photo: বিপজ্জনক অ্যাডভেঞ্চারে মেতে উঠছে শিশুরা! ভাইরাল এআই-এর তৈরি ছবি...

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)  

Read More