নিজস্ব প্রতিবেদন : যে জিনিসগুলি ছাড়া আধুনিক বিশ্ব এক পা এগোতে পারবে না, সেই তালিকায় শীর্ষের দিকে নিঃসন্দেহে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিকে রাখা যায়। শুধু তাই নয়, এক দূষণহীন ভবিষ্যতের অঙ্গীকার করে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। সেই ব্যাটারির সৃষ্টিকর্তারাই এতদিন পর পেলেন সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। বুধবার রসায়নে নোবেল পুরস্কারের জন্য ঘোষিত হল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির নেপথ্যে থাকা তিন বিজ্ঞানীর নাম। ২০১৯-এর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেতে চলেছেন বিজ্ঞানী জন বি গুডএনাফ, এম স্ট্যানলে এবং আকিরা ইয়োশিনো।
এদিন তাঁদের নাম ঘোষণার সময়ে নোবেল ফাউন্ডেশন বলে, "এই তিন বিজ্ঞানী নিজেদের কাজের মাধ্যমে এক তারহীন, জীবাশ্ম-জ্বালানিহীন সমাজের ভিত্তি স্থাপন করে দিয়েছেন।"
Watch the very moment the 2019 Nobel Prize in Chemistry is announced.
— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 9, 2019
Presented by Göran K. Hansson, Secretary General of The Royal Swedish Academy of Sciences.#NobelPrize pic.twitter.com/PM8X2S3Zy4
বর্তমানে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন মার্কিন বিজ্ঞানী জন বি গুডএনাফ। অন্যদিকে তাঁর সহকর্মী ব্রিটিশ রসায়নবিদ এম স্ট্যানলে বর্তমানে বিঙহ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। অপর বিজ্ঞানী আকিরা ইয়োশিনো জাপানের মেজিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
নোবেল ফাউন্ডেশনের তরফে জানানো হয়, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি তড়িত্দ্বারের ক্ষয়ের জন্য কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল নয়। বরং ক্যাথোড ও অ্যানোডের মাঝে লিথিয়াম-এর আয়নের প্রবাহের উপর নির্ভরশীল। এটাই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির সবচেয়ে বড়ো সুবিধা। তাছাড়া দ্রুত চার্জ নেওয়া, তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকা, ওজন কম হওয়াও এই ব্যাটারির জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন: মহাকাশের অজানা রহস্যের অনুসন্ধান, পদার্থবিদ্যায় নোবেলের জন্য ঘোষিত হল তিন বিজ্ঞানীর নাম
প্রায় ২৮ বছর আগে প্রথম বাজারে আসে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। সেই সময় থেকে ক্রমশই জনপ্রিয়তা পেয়েছে ছোট আকারের হালকা ওজনের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। আর স্মার্টফোনের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে এই ব্যাটারি। শুধু তাই নয়, যত দিন যাচ্ছে ব্যাটারিচালিত গাড়ির দিকে ঝুঁকতে চাইছে বিশ্ব। আর সে ক্ষেত্রেও সহায় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। তাই মানবসমাজের ক্ষেত্রে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা বলাই বাহুল্য।