জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তীব্র অর্থ সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানের দিকে এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল চিন, ইরান, উজবেকিস্তান। যদিও আন্তর্জাতিক অর্থসংস্থা এখনও পাকিস্তানের বিষয়ে সেভাবে নরম হয়নি। গত দশ বছরে এই প্রথম সে দেশে রিজার্ভের অবস্থা তলানিতে নেমে এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ের অবস্থা খুবই সঙ্গিন সেদেশে।
বহুদিন ধরেই আর্থিক সংকটে শোচনীয় পরিস্থিতি পাকিস্তানের। দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়ার জন্য জীবনমরণ লড়াইতে সামিল হতে হয়েছে সে দেশের অধিকাংশ মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীদের আরও এক বার ব্যয়সঙ্কোচের পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সম্প্রতি মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পরে শাহবাজ তাঁর মন্ত্রীদের বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা আর বিমানের বিজনেস ক্লাসে চড়তে পারবেন না। সাধারণ জনতার মতো বিমানের ইকনমি ক্লাসে চড়েই যাতায়াত করতে হবে তাঁদের। তা ছাড়া এ বার থেকে বিলাসবহুল হোটেলেও থাকতে পারবেন না তাঁরা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন-- এখন আমাদের সকলেরই ব্যয়সংকোচ করা প্রয়োজন। কঠিন সময়ে আমাদের এ শিক্ষা দিচ্ছে, আপাতত আমাদের সাদামাটা ভাবেই জীবনযাপন করা উচিত।
আরও পড়ুন: Pakistan । FATF: প্রকাশ্যে হিজবুল মুজাহিদিন নেতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন, FATF-এর কড়া চিঠি পাকিস্তানকে
২০১৯ সালেই আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার থেকে ৬০০ কোটি ডলার অনুদান (বেলআউট) নিয়েছিল পাকিস্তান। ২০২২ সালে ভয়াবহ বন্যার পরে আরও ১১০ কোটি ডলার অনুদান পেয়েছিল। কিন্তু গত নভেম্বরেই সেই অনুদান দেওয়া বন্ধ করে আইএমএফ। তারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপান-উতোর সেদেশের রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে।
পাকিস্তানে এখনও পানীয় জল, আটা, ময়দা দুর্মূল্য। এগুলির দাম লাগামছাড়া। সাধারণ মানুষের মাথায় হাত। কিছু দিন আগেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা পাকিস্তান মুসলিম লিগের নেতা খাজা আসিফ জানান, তাঁরা এক দেউলিয়া দেশের বাসিন্দা। তবে এ বার আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে!