জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চার রকমের ভূত। চার রকমের দাবি-দাওয়া। কিন্তু তা নিয়েই চলছে যুগ যুগ ধরে। কম্বোডিয়ার কথা হচ্ছে। সেখানে প্রত্য়েক শরৎকালে 'পচুম বেন' নামের এক ধরনের পরব পালিত হয় যেখানে ভূতেরা খেতে আসে! এই উৎসবকে খেমের ফেস্টিভালও বলে। এই উৎসব পনেরো দিন ধরে হয়। স্থানীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, উৎসবের এই ১৫ দিন নরকের দরজা খোলা থাকে। আর সেখান থেকে ক্ষুধার্ত ভূতের দল বেরিয়ে আসে। এই সময়ে ভূতেরা তাদের আত্মীয়দের কাছ থেকে খাবার পাওয়ার আশায় কবরস্থান এবং মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে বেড়ায় বলে বিশ্বাস। মূলত চার প্রকারের ভূত এ সময়ে সাময়িকভাবে মুক্তি পায়। একদল ক্ষুধার্ত। এরা আত্মীয়দের দেওয়া খাবার খায়। আর এক ধরনের ভূত আছে যারা মূলত সন্ন্যাসীদের কাছ থেকেই খাবার গ্রহণ করে। এ ছাড়া আরও দু ধরনের ভূত এ সময়ে মুক্তি পায়। যাদের একদল শুধু আগুনে জ্বলতে থাকে এবং আলো দেয়।
আরও পড়ুন: Asteroid 2022 RA5: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু! গতি শুনলে মাথা ঘুরে যাবে!
এ সময়ে ক্ষুধার্ত ভূতদের খাইয়ে-দাইয়ে তুষ্ট করেন জীবিত মানুষজন। স্থানীয় পরিবারগুলি তাদের পূর্বপুরুষদের পাশাপাশি যেকোনও ক্ষুধার্ত আত্মা তথা ভূতকেই খাইয়ে সন্তুষ্ট করতে পারে, করার চেষ্টাও করে।
অতৃপ্ত আত্মাদের ভালভাবে খাওয়ালে মঙ্গল হয়। কিন্তু কোনও ভূত যদি খালি পেটে নরকে ফিরে যায়, বা তার যদি খেতে তৃপ্তি না হয় তবে সেজন্য তার আত্মীয়দের ফল ভোগ করতে হয়। ভূতেদের অভিশাপ ঝরে পড়ে জীবিতদের উপর।