Home> দুনিয়া
Advertisement

গণতন্ত্রের গান গাইলেও অপরাধ! প্রতিবাদের গলা টিপে হংকংয়ে দুর্গ গড়ল চিন

হংকংয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের গণতন্ত্রপন্থী প্রতিবাদের গান-"গ্লোরি টু হংকং" গাওয়ায়ও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

গণতন্ত্রের গান গাইলেও অপরাধ! প্রতিবাদের গলা টিপে হংকংয়ে দুর্গ গড়ল চিন

নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবারই হংকংয়ে একটি হোটেলকে নিজেদের জাতীয় সুরক্ষা অফিসে রূপান্তরিত করল চিন প্রশাসন। হংকংয়ের যে কোনও আদালতের উপর ছড়ি ঘোরাতে পারবে এই অফিস। হংকংয়ে সদ্য আসা জাতীয় নিরাপত্তা আইন বলবৎ করাই এই অফিসের উদ্দেশ্য। ২৬৬ ঘরের  এই মেট্রোপার্ক হোটেল, যা এখন চিনের জাতীয় নিরাপত্তার অফিস সেখানে কতজন আধিকারিক আছেন তা পরিস্কার নয়।

তবে ব্রিটেনের সঙ্গে ৫০ বছরের কথার তোয়াক্কা না করেই হংকংয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে বেজিং। এরকম অভিযোগ বারবার উড়ে আসছিল পশ্চিমি দেশগুলি থেকে। সম্মুখ সমরে নেমে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তো হংকংবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথাও ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। চিনকে বিঁধতে ছাড়েননি মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেও। তবে চিন আছে চিনেই।

আরও পড়ুন:মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে নারাজ কুলভূষণ যাদব! নতুন চালাকি পাকিস্তানের

জাতীয় নিরাপত্তা আইন এনে প্রতিবাদীদের সন্ত্রাসবাদ,বিচ্ছিনতাবাদ ও বিদেশের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে অপরাধের দায়ে আজীবন হাজতবাস করানোর বিধি কায়েম করেছে জিনপিং প্রশাসন। এমনকি সেই আইন অমান্য করার দায়ে ১০ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। যার মধ্যে একজনের বয়স ১৫ বছর।

এমনকি হংকংয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের গণতন্ত্রপন্থী প্রতিবাদের গান-"গ্লোরি টু হংকং" গাওয়ায়ও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্লাস বয়কট, স্লোগান কিংবা প্রতিবাদের মানব বন্ধন গড়তেও বারণ করে দিয়েছেন এডুকেশন সেক্রেটারি। "লিবারেট হংকং! রিভলিউশন অব আওয়ার টাইমস" এই স্লোগানকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে চিন প্রশাসন। সব দিক দিয়েই প্রতিবাদকে গলা টিপে মেরে ফেলতে পদক্ষেপ করছে চিন।

Read More