জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অভিযোগের শেষ নেই। তিনি ফাঁস করে দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত এফবিআই-এর গুচ্ছ গোপন নথি। ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি কারও কোনও কথাই শোনেননি। শোনেননি বিচার বিভাগের আপত্তিও। ভোটে হেরে হোয়াইট হাউস ছাড়ার তিন বছর বাদে সরকারি নথি চুরির নতুন এক অভিযোগে বিদ্ধ আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: Australia: এবার নিষিদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে নাৎসিদের স্বস্তিকা চিহ্ন, বিল আসছে সংসদে...
কী কী অভিযোগ ট্রাম্পের নামে?
অভিযোগের শেষ নেই। ক্যাপিটল হিলস হামলায় উস্কানি, পর্ন তারকাকে ঘুষ, আয়কর জালিয়াতি, বিচারব্যবস্থার উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের দেওয়া উপহার সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়া! আমেরিকার আদালতে মোট ৩৪টি মামলায় অভিযুক্ত ট্রাম্প। আর সেই তালিকারই অন্যতম হল, প্রচুর গোপন সরকারি নথি বেআইনি ভাবে ব্যক্তিগত হেফাজতে রাখা।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প নিজেই তাঁর নিজস্ব সমাজমাধ্যমে জানান, সরকারি নথি চুরির মামলায় মঙ্গলবার ফ্লোরিডার মায়ামি আদালত তাঁকে তলব করেছে। ট্রাম্পের কথায়, আমার আইনজীবীদের থেকে জানতে পারলাম, গোপন সরকারি নথি সংক্রান্ত মামলায় দুর্নীতিগ্রস্ত জো বাইডেনের প্রশাসন আমাকে অভিযুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: Canadian Wildfires: আতঙ্ক! এই শতকের ভয়ংকরতম দাবানলে পুড়ছে এলাকার পর এলাকা...
২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি সরকারি ভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ শেষ হয়েছিল ট্রাম্পের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেশের প্রেসিডেন্সিয়াল রেকর্ডস অ্যাক্ট অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টপদে মেয়াদ শেষের পরে কেউ কোনও সরকারি নথি ব্যক্তিগত হেফাজতে রাখতে পারেন না। কিন্তু অভিযোগ, হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময়ে নাকি ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় নানা সরকারি নথি সঙ্গে করে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। রেখেছিলেন ফ্লোরিডার পাম বিচে তাঁর বাড়ি মার-আ-লাগো রিসর্টে।