জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বদলের বাংলাদেশ (Bangladesh) রাজধানী ঢাকায় বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির (Dhaka Durga Temple) গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, মৌলবাদীরা স্থানীয় প্রশাসনের উপরে মন্দির ভেঙে ফেলার জন্য চাপ তৈরি করছিলেন। অভিযোগ, প্রায় ৫০ বছরের পুরনো ঢাকার এই দুর্গামন্দির। প্রতি বছর দুর্গাপুজো, কালীপুজো হত। নিত্য পুজোও হত। কিন্তু বৃহস্পতিবার ইউনূস সরকার সেই মন্দির (Dhaka Durga Temple News) গুঁড়িয়ে দেয়। স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দারা মন্দিরের সামনে বসে প্রতিবাদ করলে, তাঁদের জোর করে সরিয়ে দেয় ইউনূস সরকারের পুলিস। বুলডোজার দিয়ে নির্বিচারে ভাঙা হয় দুর্গামন্দির (Bangladesh Durga Temple News)।
এই ঘটনা নজর এড়ায়নি ভারত সরকারেরও। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “চরমপন্থীরা ঢাকার দুর্গামন্দির ভেঙে ফেলার জন্য দাবি করছিল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিরাপত্তা প্রদানের বদলে অবৈধ জমি ব্যবহার বলে মন্দির ধ্বংস করার অনুমতি দেয়। এর জেরে মন্দির স্থানান্তরিত করা যায়নি, দেবীমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনা দেখে আমরা হতাশ। আমরা আবারও বলছি যে বাংলাদেশে হিন্দুদের ও তাঁদের সম্পত্তি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।”
এদিকে দুর্গামন্দির ভাঙার ঘটনায় হইচই শুরু হতেই ও ভারত সরকারের তরফে কড়া বিবৃতি জারি হতেই দুর্গামন্দির প্রসঙ্গে পালটা মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। দুর্গামণ্ডপ সরানো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি একটি পোস্ট করেন। যা কিনা সরকারি জমিতে অস্থায়ী মণ্ডপ সরানো প্রসঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য বলে দাবি ইউনূসের। কী লেখা সেই পোস্টে?
মহম্মদ ইউনূসের পোস্টে লেখা-
"ঢাকা, ২৭ জুন, ২০২৫: রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই খিলক্ষেতে রেলের জমিতে একটি পূজা মণ্ডপ তৈরি করে। পূজা শেষে মণ্ডপটি সরিয়ে নেয়ার শর্তে পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়। পূজার আয়োজকরা রেলকে পূজা শেষে মণ্ডপ সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পূজা শেষে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা মণ্ডপটি সরিয়ে নেয়নি। উল্টো তারা সেখানে স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। বারবার তাদের এহেন প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও পূজার আয়োজকরা কর্ণপাত করেননি।”
প্রধান উপদেষ্টার আরও দাবি, "উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে জনসাধারণের সম্পত্তি অবৈধ দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথমে প্রায় শতাধিক দোকানপাট, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, কাঁচাবাজার ও সবশেষে অস্থায়ী মন্দিরটি সরানো হয়েছে। অস্থায়ী মন্দিরের প্রতিমা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যেকোনও ধরনের বিভ্রান্তি ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।"
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)