ওয়েব ডেস্ক: মালালা ইউসুফজাইয়ের উপর হামলাকারী ১০ তালিবানি আততায়ীর মধ্যে মুক্তি পেয় গেল ৮জন। এর আগে নোবেল বিজয়ী মালালার উপর প্রাণঘাতী হামলার অপরাধে চলতি বছরের এপ্রিলে ১০ তালিবানি জঙ্গির ২৫ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছিল পাকিস্তানের একটি আদালত।
যেভাবে রুদ্ধদ্বারে চরম গোপনীয়তা অবলম্বন করে এই মামলার ট্রায়াল চলেছে, এই রায়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
পাকিস্তানের হাই কমিশনের মুখপাত্র মুনীর আহমেদ জানিয়েছেন যথাযথ প্রমাণের অভাবেই এই আটজন আজ মুক্তি পেয়েছে।
যেখানে ১৫ বছরের মালালার উপর ভয়াবহ হামলা হয়েছিল, সেই সোয়াত প্রদেশের ডিস্ট্রিক্ট পুলিস প্রধান সালিম মহম্মদ জানিয়েছেন ধৃতদের মধ্যে মাত্র দু'জন অপরাধী।
২০১২ সালে ইসলামাবাদের উত্তরপশ্চিমে সোয়াত প্রদেশের মিনগোরাতে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় মালালার মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় তেহরিক-ই-তালিবানের জঙ্গিরা। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও দুই স্কুল পড়ুয়া। মেয়েদের শিক্ষার অধিকারের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে তার আগেও তালিবানদের হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল মালালা। কিন্তু, কোনও হুমকি বা ভয়কে পাত্তা দেয়নি পাকিস্তানের এই কিশোরী, সরে আসেনি নিজের অবস্থান থেকেও। সেই 'অপরাধেই' মালালাকে 'সবক' শেখাতে তাকে হত্যার চেষ্টা করে তালিবানিরা।
তালিবানি হামলার পরে মৃত্যুর সঙ্গে এক প্রকার পাঞ্জা লড়েই জীবন ফিরে পায় মালালা। প্রথমে পাকিস্তানে পরে ব্রিটেনে চলে তার চিকিৎসা। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে ব্রিটেনেই থাকে এখনও পর্যন্ত ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী। দেশ ফিরলেই মালালা ও তার পরিবারকে খুন করা হবে। জানিয়েছে তালিবানিরা। তাই এই মুহূর্তে মাতৃভূমিতে ফেরার উপায়ও নেই তার।
২০১৪ সালে পাক সেনা জানায় মালালার উপর হামলাকারী ১০ জনকে তারা গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন মালালার উপর হামলাকারী ৪,৫ জনের একজনও ধৃত ১০জনের মধ্যে নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, ষড়যন্ত্রে সামিল থাকলেও মালালাকে সরাসরি খুনের চেষ্টার সঙ্গে এই ১০জন জড়িত ছিল না।
পুলিসের বিশ্বাস যে জঙ্গি মালালার উপর গুলি চালিয়েছিল সে বর্ডার টপকে আফগানিস্তানে পালিয়ে গেছে।