Home> দুনিয়া
Advertisement

উপন্যাসের কায়দায় বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ আনল মেয়ে

"বাবা আমাকে টানা ছ'বছর ধরে ধর্ষণ করেছে..." ভরা আদালতে দাঁড়িয়ে মেয়েটা এই কথা বলল। শুধু এই টুকুই নয়, মেয়েটি সবিস্তারে বর্ণনা করল ঠিক কেমন করে বাবা তার সঙ্গে 'জবরদস্তি যৌনতায়' মেতে উঠত। কিন্তু মেয়েটির এই অভিযোগ এবং তার শরীরি ভাষা আগাগোড়াই সন্দেহজনক ঠেকেছিল মেয়েটির বাবার আইনজীবী ক্যাথি ম্যাককুলোচের। তারপর ক্যাথি তাঁর মক্কেল অর্থাত্ অভিযোগকারিণীর বাবার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জেনে ফেলল যে তাঁর মেয়ের পছন্দের উপন্যাস ই এল জেমসের 'ফিফটি শেডস্ অফ গ্রে'। আর এই পছন্দের উপন্যাসের সূত্র ধরেই বেরিয়ে গেল যে মেয়েটা আসলে বাবার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। কিন্তু কেন?

উপন্যাসের কায়দায় বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ আনল মেয়ে

ওয়েব ডেস্ক: "বাবা আমাকে টানা ছ'বছর ধরে ধর্ষণ করেছে..." ভরা আদালতে দাঁড়িয়ে মেয়েটা এই কথা বলল। শুধু এই টুকুই নয়, মেয়েটি সবিস্তারে বর্ণনা করল ঠিক কেমন করে বাবা তার সঙ্গে 'জবরদস্তি যৌনতায়' মেতে উঠত। কিন্তু মেয়েটির এই অভিযোগ এবং তার শরীরি ভাষা আগাগোড়াই সন্দেহজনক ঠেকেছিল মেয়েটির বাবার আইনজীবী ক্যাথি ম্যাককুলোচের। তারপর ক্যাথি তাঁর মক্কেল অর্থাত্ অভিযোগকারিণীর বাবার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জেনে ফেলল যে তাঁর মেয়ের পছন্দের উপন্যাস ই এল জেমসের 'ফিফটি শেডস্ অফ গ্রে'। আর এই পছন্দের উপন্যাসের সূত্র ধরেই বেরিয়ে গেল যে মেয়েটা আসলে বাবার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। কিন্তু কেন?

আরও পড়ুন- পাকিস্তানে হিন্দু বিবাহ বিল

আইনজীবী ক্যাথির খটকা লাগাতে, সেদিনই তিনি 'ফিফটি শেডস্ অফ গ্রে' পড়ে ফেলেন সারা রাত জেগে। আর তাতেই বুঝতে পারেন যে, ওই উপন্যাসের সাতেরোটি অংশের (বা ঘটনার) সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে এই মেয়েটির অভিযোগ। ব্যাস ওমনি সবকিছু পরিস্কার হয়ে যায় ক্যাথির কাছে। পরদিনই আদালতে এই মেয়েটিকে জেরা করতে শুরু করেন মহিলা আইনজীবী ক্যথি। দুঁদে আইনজীবীর জেরার সামনে ভেঙে পড়ে সেই মেয়ে এবং স্বীকার করে নেয় যে তার বাবার বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সে এই অভিযোগ এনেছে কারণ, তার বাবা অত্যন্ত কড়া ধাতের মানুষ, খুব শাসন করতেন তাকে। তাই তাঁকে উচিত শিক্ষা দিতেই সে এই ছক বানায়। আদালতের সামনে সব কিছু পরিস্কার হয়ে যাওয়াতে আদালত তত্ক্ষণাত্ ওই ব্যক্তিকে সসম্মানে মুক্তি দেয়।

আরও পড়ুন- সোনাগাছিকে নিয়ে তথ্যচিত্র

গোটা ঘটনাটা ব্রিটেনের আইনজীবী ক্যাথি ম্যাককুলোচ তাঁর ব্লগে লিখেছেন এবং ওই মেয়েটি ও তার বাবার সম্মানের কথা মাথায় রেখেই তাঁদের নাম লেখেননি।

Read More