জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বের অন্যতম কমবয়সি প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন। কয়েকদিন আগে একটি ব্যক্তিগত পার্টিতে দেদার আনন্দ করেছেন আর তা নিয়ে অযথা লুকোছাপাও করেননি। কিন্তু একান্ত বন্ধুদের নিয়ে করা ব্যক্তিগত কোনও পার্টির ছবি কোনও ভাবে অনলাইনে প্রকাশিত হয় আর তা নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হয়। অবশেষে সেই ঘটনার জেরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন। নিজের বাড়িতে ব্যক্তিগত পার্টিতে তোলা ছবি ঘিরে হইচই শুরু হতেই ক্ষমা চাইলেন তিনি। ছবিতে দেখা গিয়েছে, সে দেশের দুই মহিলা প্রভাবশালী চুম্বনরত অবস্থায় রয়েছেন। তাঁদের ঊর্ধ্বাঙ্গও অনাবৃত। আর তাতে ফিনল্যান্ডের চিহ্ন আঁকা। ছবিটি নেটমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সান্না। তবে সান্না মারিন বলেছেন, তাঁর মতে এ ছবিটি যথাযথ নয়। এর জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ছবি তোলাই উচিত হয়নি। তবে আবার এমন কথাও বলেছেন, এটি এমন কিছু অসাধারণ ব্যাপার নয়। এমনটা পার্টিতে হতেই পারে! প্রসঙ্গত, দেশের প্রধানমন্ত্রিত্ব সামলানোর পাশাপাশি অবসরযাপনেও সমান আগ্রহী মারিন। জুলাইয়ের ওই পার্টিতে তিনি যে দারুণ সময় কাটিয়েছেন, সে কথাও পরিষ্কার স্বীকার করে নিয়েছেন। মারিন বলেন, পার্টিতে তাঁরা সানবাথ নিয়েছেন, সাঁতার কেটেছেন, সব মিলিয়ে একসঙ্গে সময় কাটিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Finland PM Sanna Marin Drug Test: মাদক পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এল ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর
সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন ও তাঁর বন্ধুদের একটি পার্টিতে নাচতে ও গাইতে দেখা গিয়েছিল। সেই পার্টির ভিডিয়ো প্রকাশিত হওয়ার পরে সেটা নিয়ে তাঁর দেশে তাঁর খুবই সমালোচনা হয়েছিল। বিরোধীরাও নানা ভাবে তাঁর মর্যাদাহানি করেছিল। তাঁর নামে মাদক নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। বিরক্ত সান্না মাদক পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেই মাদক পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা আইডা ভালিন বলেছিলেন, মারিনের প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। নমুনায় কোকেন, অ্যামফেটামাইন, গাঁজা এবং ওপিওয়েডসের উপস্থিতি আছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য। মারিনের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল ১৯ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন যে পরীক্ষা করিয়েছেন, তার ফলাফলে মাদকের কোনও উপস্থিতি মেলেনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সান্না মারিন ও তাঁর বন্ধুদের নাচগানের ওই ভিডিয়োতে সান্না মারিন ও তাঁর বন্ধুদের পার্টিতে নাচতে ও গাইতে দেখা গিয়েছিল। ভিডিয়োটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিরোধী দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়েন মারিন। তাঁরা তাঁকে স্বেচ্ছায় মাদক পরীক্ষা করানোর জন্য আহ্বান জানান। ওই ভিডিয়ো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মারিন বলেছিলেন, ব্যক্তিগত পার্টিতে নাচের ভিডিয়োটি অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ায় তিনি ক্ষুণ্ণ। কেননা, এই পার্টিতে শুধু বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ারই কথা ছিল।
২০১৯ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মারিন। তবে এবারই প্রথম সমালোচনার মুখে পড়লেন মারিন, তা নয়। পার্টি করার কারণে এর আগেও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে করোনা অতিমারীর ঝুঁকির মধ্যেও রাতভর পার্টি করায় সেবার সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।