জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দুটি ভিন্ন ঘটনায় সিরিয়ায় সংকট। গোলাগুলি, বোমা, হামলা, রক্ত, মৃত্যুতে জেরবার সিরিয়া। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে পৃথক দুটি সংঘর্ষে শিশু-সহ অন্তত ১৯ জন অসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত আরও কয়েকজন। শুক্রবার প্রতিবেশী তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকায় কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের সঙ্গে সিরিয়ার বাহিনীর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। অন্য একটি ঘটনায়, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে হাসাকেহ শহরে মেয়েদের একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে তুরস্কের বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছিল। ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৪ শিশু নিহত হয়েছে, ১১ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: World Senior Citizen's Day: বিশ্ব জুড়ে ২১ অগস্ট দিনটি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য কেন বিশিষ্ট জেনে নিন...
সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের সঙ্গে সিরিয়ার বাহিনীর সংঘর্ষের বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থা 'সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস' জানিয়েছে, একটি ঘটনায় সীমান্তবর্তী শহর আল-বাব এলাকায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সেনাবাহিনীর কামানের গোলায় ১৫ জন ব্যক্তি নিহত হন। এলাকাটি তুরস্ক-সমর্থিত কুর্দি বিদ্রোহীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বলেই জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে, আহত অন্তত ৪০ জন। এর আগে জানা গিয়েছিল, হামলায় ৯ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছিলেন। যদিও কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের এক মুখপাত্র বাহিনীটির এই সংঘর্ষে জড়িত থাকার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন। জনাকীর্ণ একটি বাজার লক্ষ্য করে সিরিয়ান বাহিনী এই হামলা চালিয়েছিল। গোলার আঘাতে বাজারটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। হামলার পরপরই সেখানকার লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য ঘটনাটিতে সিরিয়ার হাসাকেহ শহরে এক পুনর্বাসন কেন্দ্রে তুরস্কের বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছিল। ওই হামলায় পুনর্বাসন কেন্দ্রের ৪ শিশু নিহত, ১১ জন আহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, অজ্ঞাত সশস্ত্র হামলাকারীরা সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে কদিন আগেই। বিস্ফোরণ এবং গুলির লড়াইয়ের পরে একটি হোটেলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। শুক্রবার পুলিশ এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এই কথা জানিয়েছিলেন। আহমেদ নামে একজন পুলিস কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, হোটেল হায়াতকে লক্ষ্য করে দুটি গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একটি বোমা হোটেলের কাছে একটি ব্যারিকেডে আঘাত করে, অন্যটি আঘাত করে হোটেলের গেটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তাও এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মোগাদিশুর আমিন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, তাঁরা এখনও পর্যন্ত ন'জন আহত ব্যক্তিকে হোটেল থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন।