জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার কেঁপে উঠল পাপুয়া নিউ গিনি। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.২। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে এই খবর দিয়েছে। শনিবার রাতের দিকে, রবিবার ভোরই বলা চলে, কেঁপে উঠেছিল এই দ্বীপ-অঞ্চল। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ৩৮.২ কিলোমিটার গভীরে। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরের কিম্বে শহরও এই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে। এই শহরের কাছে ওয়ালিন্দি প্ল্যান্টেশন রিসোর্টের কর্মী ভেনেসা হিউজ জানান, তিনি কম্পন টের পেয়েছেন। ভূমিকম্পে সব কিছু কেঁপে উঠেছে।
আরও পড়ুন: Ericsson Layoffs: এবার এরিকসনে ছাঁটাই; টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে এই মাপের জব কাট আগে কখনও হয়নি...
গতকালই কেঁপে উঠেছিল জাপান। রিখটাল স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.১। তবে জাপানে প্রাথমিক ভাবে অবশ্য সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি। হতাহতেরও কোনও খবর নেই। শনিবার তখনও সবে সন্ধে নেমেছে। তখনই উত্তর জাপানের হোক্কাইডো প্রদেশের একাধিক উপকূলবর্তী শহরে ভূকম্পন অনুভূত হয়। সমুদ্রেও কি প্রভাব পড়বে? না, সুনামির সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না গেলেও বহু মানুষের মৃত্যু আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইন্দোনেশিয়ার হালমাহেরা দ্বীপের উত্তরাঞ্চলে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। তাজিকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে একই দিনে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। তাজিকিস্তানের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। উৎপত্তিস্থলে ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ২০.৫ কিলোমিটার। চলতি মাসে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮! সঙ্গে পর পর বেশ কয়েকটি আফটার শকও ছিল! কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে দেশটি। প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ হাজারেও বেশি মানুষ।
গত বছরের মাঝামাঝি ভূমিকম্প হয়েছিল জাপানেও। কম্পনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল রাজধানী টোকিও-র কাছেই।