জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। কিন্তু সব সময় সেটা তো মনে রাখাও যায় না। মনে রাখেনিও ভারত। আসন্ন এসসিও বৈঠকে আলোচনার জন্য পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানাল ভারত। এবং সুখের কথা, পাকিস্তানও ভারতের এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। আগামী এপ্রিলে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই বৈঠক। ভারত অবশ্য এরকম ক্ষেত্রে একাধিকবার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের দিকে। কিন্তু পাকিস্তান বারবারই ভারতের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চেও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে দু'দেশের মধ্যে ঝগড়া বাধে। তবে এত কিছুর পরও কূটনৈতিক সৌজন্য বজায় রাখল ভারত। আসন্ন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (Sanghai Co-operation Organization) বৈঠকে তারা আমন্ত্রণ জানাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে। আগামী এপ্রিলে নয়া দিল্লিতে এই বৈঠক হতে চলেছে। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারতের আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন।
আরও পড়ুন: বউমার স্বনির্ভর হওয়ার ইচ্ছায় রাগ, ইন্টারভিউয়ের পথে মাথায় থান ইট ছুঁড়ে মারল শ্বশুর!
জি-২০ সম্মেলনের পাশাপাশি বর্তমানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনেরও সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। চলতি বছরে একাধিক বৈঠক আয়োজনের গুরুদায়িত্ব রয়েছে দিল্লির উপর। সেই রকমই এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হল পাকিস্তানকে।
আরও পড়ুন: 'এর জন্য আমি জেলে যেতেও তৈরি...' লোকসভায় হুঙ্কার মহুয়ার!
জানা গিয়েছে, আগামী ২৯ মার্চ নতুন দিল্লিতে এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্তরের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এর পরে ২৭ এপ্রিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্তরের বৈঠক হবে। দুই বৈঠকেই বাকি সদস্য দেশগুলির মতো পাকিস্তানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই বৈঠকে যোগ দিতে পারে চিন, রাশিয়া, কাজাকিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিরাও।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ৩টি দেশ, কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান এবং তাজিকিস্তানকে নিয়ে চিন এক নতুন জোট গড়ে। তবে ১৯৯৬ সালে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে এবং ব্যবসাবাণিজ্য বাড়াতে চিন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান তাজিকিস্তান যৌথ ভাবে 'সাংহাই ফাইভ' গড়ে তোলে। ২০০১ সালে সংস্থাটির নাম বদলে হয় 'সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন' বা 'এসসিও'। ২০১৫ সালে ভারত এই গোষ্ঠীর সদস্য হয়। তবে শোনা গিয়েছিল, দিল্লিকে চাপে রাখতে চিন একই সঙ্গে পাকিস্তানকেও ওই সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করে।