Bangladesh Shocker: বাড়ির লোকজন পুজো দেখতে গিয়েছিল, দরজা ভেঙে ঢুকে তরুণী গৃহবধূকে 'ধ*র্ষ*ণ', ধৃত স্থানীয় নেতা

Bangladesh Shocker: স্থানীয় লোকজন অভিযুক্তকে ধরে প্রবল মারধর করে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কয়েকদিন আগেই ঢাকায় এক অস্থায়ী মন্দির উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। সরকারের দাবি রেলের জমিতে ওই দুর্গামন্দির গড়ে উঠেছিল। তাই ওই জমি থেকে মন্দিরটি সরিয়ে দেওয়া হয়। এবার কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার এক সংখ্যালঘু তরুণী গৃহবধূ। বাপের বাড়িতে তাকে ছুরি দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।  ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলি(৩৮) বিএনপি ঘনিষ্ঠ বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার জেরে এখনওপর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামি।

কী ঘটেছিল? প্রায় ১৫ দিন আগে ওই তরুণী বাপের বাড়িতে আসেন। গত ২৬ জুন মুরাদনগরে তার বাপের বাড়িতেই ছিলেন ওই তরুণী। ওই দিন রাতে পাশেই একটি পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তারা বাড়ির লোকজন। বাড়িতে একাই ছিলেন ওই তরুণী। সেইসময় তার বাড়ির দরজায় এসে ধাক্কা দেয় ফজর আলি। ওই তরুণী দরজা খুললে তাকে ছুরি দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ফজরের সঙ্গে ছিল আরও কয়েকজন। তারা ঘটনার ভিডিয়ো করে নেয়। পরে সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। ঘটনার সময় ওই তরুণী চিত্কার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ফজর আলিকে ধরে ফেলেন এবং তাকে প্রবল মারধর করা হয়। পুলিস এসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। পরে রবিবার সকালে তাকে ঢাকার সায়দাবাদ থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।

ওই ঘটনায় এখনওপর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হল ফজর আলি, সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিক। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি মুরাদনগরেই।  মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় নিগৃহীতা মহিলা থানায় মামলা করার পর পুলিস অভিযানে নামে। নির্যাতিতার ডাক্তারি হয়েছে। অন্যদিকে, মুরাদনগর উপজেলার বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন অঞ্জন জানিয়েছেন, ফজর তাঁদের দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য তার নাম এই দলের সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে।

এদিকে, যে মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তিনিই এখন তাঁর অভিযোগ তুলে নিতে চান বলে জানা যাচ্ছে। কারণ এলাকাবাসীর দাবি, নির্যাতিতার সঙ্গে ফজর আলীর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। ঘটনার রাতে তাদের হাতেনাতে ধরতে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে একটি চক্র। ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে সুমনসহ তার সঙ্গীরা। স্থানীয়দের দাবি ওই মহিলার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী। দীর্ঘদিন যাবত ওই নারীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল ফজর আলীর। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে ফজর আলী। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ছাত্রলীগের সভাপতি সহ একদল বখাটে চক্র তাদেরকে আটক করে মারধর করেন।

রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকন বলেন, এটা একটা পরকীয়ার সম্পর্ক। ফজর আলীর সাথে ওই নারীর দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। বৃহস্পতিবার ফজর আলী ওই বাড়ির দিকে রওনা করলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সুমনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে হাতেনাতে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে।