জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বন্যায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তান। আফগানিস্তানের মতো এবার তারাও আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় সাহায্য প্রার্থনা করল। বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানাল পাকিস্তান। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও অন্য কয়েকটি দেশও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে, তবে আরও তহবিল প্রয়োজন, তাই আরও সাহায্য জরুরি। তিনি আরও বলেন, গত জুন মাস থেকে বন্যার জেরে এক হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। কয়েক লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান সরকার বন্যার্তদের সাহায্য করতে সবকিছু করার চেষ্টা করছে।
পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে নদী প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় সেখানে কয়েক হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। অন্য দিকে, সিন্ধু প্রদেশও বন্যায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেছেন, পাকিস্তানে জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন। পাকিস্তান এমনিতেই অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত। কিন্তু দেশটি যখন অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে তখনই সে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ল। প্রসঙ্গত, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বিদেশ সফরে গিয়ে নিজের দেশের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রার্থনা করেছেন মাত্র কদিন আগেই।
আরও পড়ুন: Afghanistan Floods: অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা, ১৮০ জনের মৃত্যু, ভেঙে পড়েছে তিন হাজারের বেশি বাড়ি
পাকিস্তানে বন্যা-পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ভারতেও বহু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি ও হড়পা বানে বহু জায়গাতেই বন্যা-পরিস্থিতি। এরই মধ্যে খারাপ খবর আফগানিস্তানেও। বন্যায় সেখানে ১৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে আফগানিস্তানের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছে তালিবান সরকার। বৃহস্পতিবারই বন্যায় হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ছবি তুলে ধরে তালিবান। বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে সেখানে। ৩০০০-এরও বেশি। ধ্বংসাত্মক এই বন্যায় দেশটির অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট হয়েছে। আফগানিস্তান এ বছর খরা-সহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছে। জুন মাসের ভূমিকম্পে সেখানে ১০০০-এরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। এক বছর আগে তালিবানের ক্ষমতা গ্রহণের পরে দেশটি আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন ইউনিসেফ-এর প্রতিনিধি।