জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পহেলগাঁওতে (Pahalgam)২৬ ভারতীয় নির্মম হত্যালীলার পর ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। জনতার চাপে পাকিস্তানের (Pakistan)বিরুদ্ধে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার(Indian Government)। তারপর থেকেই ভারত এবং ভারতীয়দের বিরুদ্ধে একাধিক পাক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সেলিব্রিটিরা উস্কানিমূলক-ঘৃণ্য মন্তব্য করে চলেছে।
এদিকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে এক পাক ইউটিউবারের মন্তব্যে তোলপাড় নেটপাড়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানি সাংবাদিক এবং ওই ইউটিউবারের এক ভিডিয়ো ক্লিপ ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়। যেখানে ওই ইউটিউবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন যে, তিনি ভারতীয় অভিনেত্রীদের নিজের যৌনদাসী করে রাখতে চান।
ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই ভারতীয় ইউজাররা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অনেকেই পাকিস্তানি সাংবাদিকের 'উগ্র মানসিকতার' সমালোচনা করেছেন। ভিডিয়োটি দুই সাংবাদিকের একটি পডকাস্ট। যেখানে পাকিস্তানি সাংবাদিক নাঈম হানিফ তার অপরদিকে বসা সাংবাদিক মাবাশির লুকমানকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে তার ইচ্ছা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছেন।
Pakistan YouTuber with more than 2 lakh followers is proudly saying that he wants to take Indian Actresses as Sex Slaves.
— Sensei Kraken Zero (@YearOfTheKraken) May 4, 2025
Sick Country. pic.twitter.com/rYaHCl3Z80
সাংবাদিক নাঈম হানিফ প্রশ্ন করেছেন, 'আচ্ছা স্যার, আপনি যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আপনি বন্দুক হাতে তোলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদি যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে আপনার কী ইচ্ছা?'
এরই উত্তরে মাবাসির বলেন, 'আমি আপনার পডকাস্টের মাধ্যমে উলেমা-ই-দিন কে জিজ্ঞাসা করতে চাই, যদি ভারতীয় অভিনেত্রীরা আমাদের যৌনদাসী আসে, তাহলে আমাদের কী তাদের সেটা বানিয়ে রাখার অনুমতি আছে?' এরপরই নাঈম জিজ্ঞাসা করেন যে যে তার কি কোন বিকল্প আছে? যার জবাবে মাবাশির বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে বলে।
তারপর মাবাশির বলেন, 'আরও গুরুত্ব দিয়ে বলতে গেলে, আমার শহিদ হওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই। আমি যোদ্ধা হতে চাই। আল্লাহ যেন সমস্ত পাকিস্তানিদের যোদ্ধা বানিয়ে তোলে।' পাকিস্তানি সাংবাদিকের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক নেটিজেন লেখেন, 'এটা কোনও কমিউনিকেশন নয়। এটা পাকিস্তানের উগ্র মানসিকতাকে যে নোংরামিকে ইন্ধন জোগায় তার প্রমাণ। নারীবিদ্বেষ, বিকৃতি এবং বর্বর কল্পনা জাতীয়তাবাদের লক্ষণ নয় - এগুলি একটি অসুস্থ মানসিকতার লক্ষণ।'
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর, ভারত সরকার পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ, সংবাদ চ্যানেল এবং দেশের সেলিব্রিটিদের অসংখ্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:Fight over Food: কে আগে রুটি নেবে? বিয়েবাড়িতে তুমুল লড়াই, ঝগড়ায় প্রাণ হারাল দুজনেই...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)