জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিকেলের দিকে থানায় এসে ঢুকলেন বিধ্বস্ত জাফর গাজি ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম। নির্বিকারে বলে ফেললেন, একমাত্র ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছি। আর কোনও উপায় ছিল না। দম্পত্তির কথা শুনে থ বাংলাদেশের বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ। পুলিস লাশ উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক জাফর গাজির ছেলে হাসানকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভরপাশা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে বলে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান। নিহত হাসান গাজী (২০) ভরপাশা এলাকার জাফর গাজী এবং নাজমা বেগমের একমাত্র ছেলে। প্রতিবেশী সুরুজ ও স্বজন শাহজাহান জানান, জাফর ও নাজমার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলেটি মাদকাসক্ত। নেশার টাকার জন্য বাবা-মাকে প্রায়ই মারধর করত।
এদিন দুপুরে ৫ হাজার টাকার জন্য ঘরে ভাঙচুর করে বাবা জাফর গাজীকে মারধর শুরু করে হাসান। তখন নাজমা এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। নাজমা ছেলের হাত ধরে আটকে রাখে। সেইসময় বাবা জাফর গিজি ছেলেকে একটি পাইপ দিয়ে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই ছেলে হাসান মারা যান। পরে স্বামী-স্ত্রী দুজন থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
আরও পড়ুন-আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, ভারতের নাগরিক হতে গেলে থাকতে হবে এই ৪ নথি
আরও পড়ুন-অসুস্থ মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে ছুটেছিলেন, জেলেই কেটে গেল ১৩ মাস, কেন?...
নিহত হাসানের কাকিমা কহিনুর বেগম জানান, হাসান তার বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া করতো। সে অবাধ্য ছিল। ঘটনার সময় আমি তাদের থামানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। জাফর গাজী ও নাজমা বেগম পুলিশের কাছে দাবি করেন, হাসান মাদকাসক্ত ছিল এবং টাকার জন্য তাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। সাত-আট মাস আগেও এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন তারা। পারিবারিকভাবেও মিটমাট করা হয়েছিল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)