নিজস্ব প্রতিবেদন: শূকরের মাধ্যমে একটা চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু চেষ্টাটা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হল না। শূকরের হৃদযন্ত্র বসানো হয়েছিল এক ব্যক্তির দেহে। সেই প্রতিস্থাপনের দু'মাস পরে মারা গেলেন ডেভিড বেনেট নামের ওই ব্যক্তি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বিষয়টি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। প্রয়াত ডেভিডের পুত্র অতি যত্নের সঙ্গে বাবার চিকিৎসা সম্পাদন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
মানুষের ওষুধে শুয়োরের শরীরের অংশ ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। শুয়োরের হার্ট ভালভ মানব দেহে বসানো হয়েছে। শুয়োরের চামড়া দিয়ে 'স্কিন গ্রাফটিং'ও হয়েছে। কিন্তু বিশ্বে এই প্রথম শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল মানবদেহে! এমন প্রতিস্থাপন নজর কেড়েছিল গোটা চিকিৎসক মহলের।
তবে, ঐতিহাসিক এই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের (Pig Heart Transplant) দু'মাস পরে প্রয়াত হলেন সেই ব্যক্তি। ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেডিকেল সিস্টেম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৫৭ বছরের ডেভিড বেনেট ৮ মার্চ মারা গিয়েছেন। ডেভিড বেনেট ২০২১ সালের অক্টোবরে আমেরিকার মেরিল্যান্ডের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ৭ জানুয়ারি তাঁর শরীরে এই বিরল প্রতিস্থাপনটি হয়েছিল। যদিও চিকিৎসকদের তরফে তাঁর মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। তবে পাশাপাশি চিকিৎসকরা এ-ও বলেছেন যে, জিন-সম্পাদিত শুয়োরের হৃদপিণ্ড নিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে বেশিই বেঁচেছেন ডেভিড।
দীর্ঘকাল ধরেই চিকিৎসকরা চেয়েছিলেন পশুর অঙ্গ মানবদেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হতে পারলে তা চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক বড় সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে। শুয়োরের হৃদপিণ্ড তাঁর দেহে সংস্থাপনের জন্য রাজিও হয়ে যান ডেভিড। ডেভিডের দেহে মানুষের হৃদপিণ্ড বসানোর ঝুঁকি ছিল অনেক। মানব হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হলে মৃত্যুও ঘটতে পারত তাঁর। এই আশঙ্কা থেকেই পশুর হৃদপিণ্ড বসানোর বিকল্প খুঁজে নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: World Kidney Day: কিডনি-সংক্রান্ত মারণরোগ এড়াতে মেনে চলুন এই সামান্য কয়েকটি নিয়ম