নিজস্ব প্রতিবেদন : যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাঝসমুদ্রে ভেঙে পড়েছে বিমান। এরকম পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ মানুষই আতঙ্কে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তবে, আর পাঁচটা মানুষের সঙ্গে ডেভিড লেসকে গুলিয়ে ফেললে বোধ হয় ভুল হবে। একদমই অন্য ধাঁচে গড়া বছর মার্কিন পাইলট ও অ্যাডভেঞ্চারার ডেভিড। উড়ানের সময়ে মাঝপথে প্রশান্ত মহাসাগরে ভেঙে পড়ে তাঁর ছোট্ট বিমান। তবে একটুও ঘাবড়ে যাননি তিনি। দিব্যি নিজের স্মার্টফোনে হাসিমুখে তুলতে শুরু করলেন সেলফি ভিডিয়ো। প্লেন ধীরে ধীরে ডুবে যাওয়া থেকে ৪০ মিনিট মাঝসমুদ্রে ভেসে থাকা ও সবশেষে উদ্ধারকার্য- পুরোটাই ভিডিয়ো করলেন স্মার্টফোনে। ডেভিডের সেই ভিডিয়ো এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঠান্ডা মাথায় পাইলটের প্রতিকূল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেখে অবাক নেটিজেনরা।
বান্ধবীর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান হোসের রেড হিলভিউ বিমানবন্দর থেকে ছোট্ট বিমানটি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ডেভিড। ঠিক করেছিলেন নিজের ইনস্টাগ্রামের জন্য প্লেন থেকে ছবি তুলবেন। তবে মাঝপথে বিমানের ইঞ্জিন বিগড়ে যেতেই বাঁধে বিপত্তি। মাঝসমুদ্রেই দক্ষতার সঙ্গে নামিয়ে আনেন বিমান। সঙ্গে সঙ্গে বিমানের সিট, জলের বোতল ও খাবার-দাবার সঙ্গে নিয়ে বিমানের ডানার উপর এসে দাঁড়ান তাঁরা। বিমানটি ডুবতে শুরু করলে সমুদ্রেই সাঁতার কাটতে শুরু করেন তাঁরা। সৌভাগ্যক্রমে সেই সময়ে তাঁদের সঙ্গে আরেকটি ছোট বিমানে ছিলেন তাঁদের এক বন্ধু। তিনিই আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় ডেভিডের বিমানটি ভেঙে পড়তে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে কোস্ট গার্ডকে খবর দেন তিনি। প্রায় ৪০ মিনিট ভেসে থাকার পর উপকূলরক্ষীর হেলিকপ্টারে করে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। পুরো ঘটনাটিই ভিডিয়ো করেন ডেভিড।
সেই অবস্থাতেও কেন ভিডিয়ো করা শুরু করলেন ডেভিড? হাসিমুখে ডেভিডের উত্তর, "জীবনে অনেক অ্যাডভেঞ্চার করেছি। সেগুলি ভিডিয়ো ও ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া আমার স্বভাব। এটা একদমই আলাদা। তাই ভাবলাম ছবি তুলে রাখতেই হবে।"
প্রসঙ্গত ইনস্টাগ্রামে অ্যাডভেঞ্চারার হিসাবে বেশ জনপ্রিয় ডেভিড লেস। বিলাসবহুল জীবনযাপনের পাশাপাশি প্রায়শই বিমান, সুপারকার, মোটর সাইকেল স্টান্টের ছবি পোস্ট করে থাকেন ডেভিড। এটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার জন্য ডেভিডের কোনও স্টান্ট বলে দাবি তুলছেন অনেকে।