জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নাম আবার সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভেসে উঠছে। ভেসে উঠছে বরিস জনসনের নামও। আসলে ঋষি এবং বরিসের সমর্থকেরা মাঝে-মাঝেই দাবি তুলেছেন, তাঁদের নেতার পিছনে অন্তত ১০০ সাংসদের সমর্থন রয়েছে। বরিস এখনও নিয়ম মোতাবেক নমিনেশন জমা দেননি। কিন্তু সুনাক দৃশ্যতই চলে এসেছেন প্রকাশ্য লড়াইয়ে। তিনি ব্রিটেনের বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে সংহত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। লিজ ট্রাসের কাছে হেরে গিয়েছিলেন সেপ্টেম্বরেই। কী পটপরিবর্তন! আবার অক্টোবরেই তাঁকে প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইতে নাম জমা দিতে হল! এর ফলে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এবার লড়াইটা স্পষ্টতই ঘটতে চলেছে সুনাক, বরিস ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিব পেনি মরডান্টের মধ্যে।
৪৫ দিনের মাথায় সরে যেতে হল বরিস জনসন-যুগের পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে। এবার একটাই চর্চা-- কে হবেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের পরবর্তী মালিক? অনেকগুলি নাম ভেসে উঠছে। সেই তালিকায় বরিস জনসন, ঋষি সুনাক, পেনি মরডান্ট ছাড়াও রয়েছেন বেন ওয়ালেস।
আরও পড়ুন: British PM: লিজ ট্রাসের পরে কারা আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে? জেনে নিন কী কী নাম ভাসছে...
বহু দিন ধরেই ব্রিটেন রাজনৈতিক ভাবে সংকটাপন্ন হয়ে রয়েছে। করোনা-পর্বে পার্টি করার অপরাধে বরিস জনসন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। কর সংকট, অর্থনৈতিক সংকট--নানা কিছু ছায়া ফেলে ব্রিটেনের রাজনীতিতে এবং সাধারণ মানুষের জীবনে। একরকম এ সবেরই জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয় বরিসকে। কিন্তু নতুন প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার পরেও ব্রিটেনের সংকট কাটল না। নবনির্বাচিত লিজ ট্রাসের আমলের প্রথম লগ্ন থেকেই নানা সমস্যা। একে্র পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগ। শেষ পর্যন্ত দায় নিয়ে সরে গেলেন লিজ ট্রাস। ফলে আবার ব্রিটেনে রাজনৈতিক-প্রশাসনিক সংকট।
তবে সেই অচলাবস্থা থেকে ব্রিটেনকে বের করে আনারা প্রক্রিয়া চলছে। যাঁরা এই মুহূর্তে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে সব থেকে বেশি চর্চিত ঋষি সুনাক। তিনি প্রাক্তন চ্যান্সেলর অফ দ্য এক্সচেকার। তিনি লিজের কাছে শেষ মুহূর্তে হেরে গেলেও তাঁর হাতেই ব্রিটেনের শাসনভার অর্পিত হোক বলে চাইছে একটি বড় অংশ। আশ্চর্যজনক ভাবে এই দৌড়ে ফিরে ফিরে উঠছে বরিস জনসনেরও নাম। পার্টি গেট স্ক্যান্ডালের কথা লোকে মনে রেখেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা বরিসকে চাইছেন। এই আশায় যে, যদি বরিসের নেতৃত্বে একটা সুস্থ ও স্থায়ী সরকার পাওয়া যায়!