জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাংহাইয়ের কোভিড কেস গত তিন মাসের মধ্যে সবথেকে বেশি হয়েছে। অন্যদিকে সাম্নেই রয়েছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস। সাংহাইয়ের আধিকারিকরা চিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইভেন্টের মাত্র কয়েক দিন আগেই এই আর্থিক কেন্দ্রে আঘাত হানা কোভিড সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরার জন্য স্কুল এবং অন্যান্য স্থানগুলিকে বন্ধ করে দিয়েছে। নিঃশব্দে সবজায়গায় লকডাউন করা হয়েছে।
সাংহাই শহরে বুধবার ৪৭ টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। গত ১৩ জুলাই থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত এটাই সবথেকে বড় সংক্রমণ। জুলাই মাসে একটি সংক্ষিপ্ত সংক্রমণ বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের মনে আবার লকডাউনের ভয়কে জাগিয়ে তোলে। সর্বশেষ সংক্রমণগুলির মধ্যে, দুজন বাদে বাকি সবাই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বেইজিং শহরে বুধবার ১৮ টি সংক্রমণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক তুলনায় ছোট হলেও, চিনে প্রতি পাঁচ বছরে একবার হওয়া পার্টি কংগ্রেসের মাত্র কয়েক দিন আগেই ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে কোভিড সংক্রমণ। মনে করা হচ্ছে এই পার্টি কংগ্রেসে বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্রমবর্ধমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যয় সত্ত্বেও শি কোভিড জিরোকে তার নেতৃত্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি বানিয়েছেন। চিনের প্রচারযন্ত্র এই সপ্তাহে এই নীতির রক্ষার প্রতি তাঁর সমর্থন বাড়িয়েছে। এর মাধ্যমে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে জীবনযাপনের দিকে চিনের নীতি পরিবর্তন করা হবে না।
অভিভাবকদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ার পরেই সাংহাইয়ের বেশ কয়েকটি স্কুল অফলাইন ক্লাস স্থগিত করেছে। কোভিড প্রতিরোধি অফিসের জারি করা বিবৃতি অনুসারে, সংক্রমণ বন্ধ করার লক্ষে কমপক্ষে পাঁচটি জেলায় সিনেমা হল, বার এবং জিম সহ বিনোদনকেন্দ্রগুলি বন্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Saudi Arabia: নীরব বিপ্লব! হজে এবার থেকে একাই যেতে পারবেন মহিলারা...
এই ব্যবস্থাটি চালু করা হবে এমন জল্পনা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে কর্তৃপক্ষ রবিবার জানিয়েছে যে শহরজুড়ে কোনও স্কুল বন্ধ নেই। কিন্তু সাসপেনশন বৃদ্ধি, সেইসঙ্গে আশেপাশের এলাকা এবং আবাসিক বাড়িগুলিতে লকডাউনের মতো অন্যান্য বিধিনিষেধগুলি সাংহাইয়ের ২৫ মিলিয়ন বাসিন্দার মনে জল্পনা সৃষ্টি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ বার বার শাটডাউন হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনা চিনের কোভিড জিরো নীতির একটি বৈশিষ্ট্য।