জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। এতে বলা হয়েছে, গত অগাস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের আগে, তাঁর সরকার বিক্ষোভকারী ও অন্যান্যদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে, যার মধ্যে ছিল শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।
রাষ্ট্রসংঘ বলছে, গত ১ জুলাই থেকে ১৫ অগাস্টের মধ্যে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ সময় আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আহতরা বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীর দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত অফিসে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, নিহতদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার অফিসের প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন সরকার, তার আওয়ামী লীগ দল এবং বাংলাদেশি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার হিংসা-জাগানো উপাদানগুলি বিক্ষোভকারী ও অন্যান্য অসামরিক নাগরিকদের উপর ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত আক্রমণ চালিয়েছিল। বিক্ষোভ দমনে নৃশংসতা, পদ্ধতিগত নিপীড়নের তথ্য এবং গুরুতর অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের আহ্বানও করা হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের প্রতিবেদনে।
আর জনতার এই সম্মিলিত বিরোধিতার মুখে নিজেদের ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে প্রাক্তন সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংসতা চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। তিনি বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংস প্রতিক্রিয়া আসলে ছিল প্রাক্তন সরকারের এক পরিকল্পিত এবং সমন্বিত কৌশল! এর জন্য কি সরাসরি শেখ হাসিনাকেই অভিযুক্ত করা হচ্ছে? দেখা যাক, সময় কী বলে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)