জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রত্যাশিতই ছিল। এবার ঘটেই গেল। এতে মনে করা হচ্ছে, দেশে খাবারের দুনিয়ায় বিপ্লব এল। খাওয়া যায় এমন ১৬ প্রজাতির পোকামাকড়কে এবার 'খাদ্য' হিসেবে অনুমোদন দিয়ে দিল সিঙ্গাপুরের খাদ্য এজেন্সি (এসএফএ)। এবার থেকে সেখানে এই সব পোকামাকড় বিক্রি করা ও খাওয়া যাবে। সম্প্রতি এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের জন্য একটি সার্কুলারও জারি করা হয়েছে সেদেশে।
সিঙ্গাপুরের খাদ্য এজেন্সি (এসএফএ) জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এসএফএ পোকামাকড় ও পোকামাকড় জাতীয় খাদ্য আমদানিতে অনুমোদনও দেবে।
এবার থেকে অনায়াসে পাতে চলে আসবে কোন কোন পোকামাকড়?
জানা গিয়েছে, এসএফএর অনুমোদিত পোকামাকড়ের মধ্যে রয়েছে পঙ্গপাল, ফড়িং, বিভিন্ন রকম কীট ও বিভিন্ন প্রজাতির গুবরে পোকা।
এই পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ যেমন মানুষের খাবারের জন্য ব্যবহার হতে পারে তেমনি খাদ্য উৎপাদনকারী প্রাণীদের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বন-জঙ্গল থেকে এসব পোকামাকড় সংগ্রহ করা যাবে না বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব পোকামাকড় যে কোনো অনুমোদিত সংস্থার খামারে চাষ করা হয়েছে তার প্রমাণ থাকতে হবে।
জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে 'ইনসেক্ট ইন্ডাস্ট্রি' একটা 'ইন থিং'। পোকামাকড়কে কেন্দ্র করে একটা নতুন ধরনের খাদ্য-শিল্প ধীরে ধীরে ডানা মেলছে। এখন বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ নানা রকম পোকামাকড়কে নির্দ্বিধায় খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করছে। দেশে-দেশে এগুলি এখন খাবারের নতুন আইটেম। এ ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থাও তৈরি করা হয়েছে। কোন ধরনের পোকামাকড়কে খাদ্য হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশ দেয় তারা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)