নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে রনিল বিক্রমাসিংহ ইস্তফা দিতেই দাদা মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। গত শনিবারই ব্যাপক জনমত নিয়ে সিংহলের কুর্সিতে বসেন গোতাবায়া। প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন।
গোতাবায়া হারান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের ডেপুটি সাজিত প্রেমাদাসকে। গোতাবায়া ক্ষমতায় আসার পরই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন বিক্রমাসিংহ। এক বিবৃতিতে জানান, নয়া রাষ্ট্রপতিরা হতেই নতুন সরকার গড়া দায়িত্ব দেওয়া হল। ইস্তফার সিদ্ধান্ত আগামিকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব। উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে এই রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে চাপানউতর তৈরি হয় শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মৈত্রিপালা সিরিসেনা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে রাতারাতি প্রধানমন্ত্রীর পদে মাহিন্দা রাজাপক্ষকে বসান। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরতে নারাজ ছিলেন বিক্রমাসিংহে। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে সে সমস্যার সমাধান হয়। রাষ্ট্রপতির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন- ইন্দিরা গান্ধীর জন্মস্থল আনন্দভবনের কর বকেয়া ৪.৩৫ কোটি টাকা! নোটিস পাঠাল যোগী সরকার
উল্লেখ্য, মাহিন্দা রাজাপক্ষে ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তাঁর জমানায় চিনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে শ্রীলঙ্কার। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষদের দখলে চলে আসায় এই সম্পর্ক আগামী দিনে আরও জোরালো হবে এমনটা মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।