Home> দুনিয়া
Advertisement

Serial Killer Queen: অনন্তযৌবনা থাকতে মেরে খেয়েছিলেন ৬০০ নারী, বিশ্বের নৃশংসতম সিরিয়াল কিলার এক রানি! চিনে নিন...

Serial Killer Queen: সিরিয়াল কিলারদের তালিকায় রয়েছেন এক নারীও। তিনি যেমন ভয়ংকর, তেমনই সুন্দরী। এলিজাবেথ বাথরি নামে সিরিয়াল কিলার, তাঁর কুকর্মের দ্বারা ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন বলে মনে করা হয়। এলিজাবেথ নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখার ন্য ৬০০ কুমারী নারীর রক্ত পান করেছিলেন। ইতিহাসবিদরা মনে করেই এই সংখ্যা হাজারেরও বেশি। শুধু তাই নয়, সেই রক্তে তিনি স্নান করতেন, এমনকি তাদের মাংসও খেতেন। 

Serial Killer Queen: অনন্তযৌবনা থাকতে মেরে খেয়েছিলেন ৬০০ নারী, বিশ্বের নৃশংসতম সিরিয়াল কিলার এক রানি! চিনে নিন...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিরিয়াল কিলার শব্দ দুটি শুনলেই কেমন যেন গা ছমছম করে ওঠে। বর্তমানে এই সিরিয়াল কিলারদের নিয়ে বিভিন্ন সিনেমা, ওয়েব সিরিজ  তৈরি হয়ে থাকে। এই ক্রাইম থ্রিলার স্টোরি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলি দেখতেও লাগে বেশ ইন্টারেস্টিং। তবে কি জানেন এই সিরিয়াল কিলার শব্দটি উঠে এসেছে সেই ১৮ শতকের শেষের দিকে।

জানা গিয়েছে,  ১৮ শতকের শেষের দিকে এই ব্যাপারটি প্রথমে সবার সামনে আসে জ্যাক দ্য রিপারের কল্যাণে। ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার বলা হয় তাঁকে। ১৮৮৮ সাল থেকে ১৮৯১ সাল পর্যন্ত পূর্ব-লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেলের আশপাশে সর্বমোট এগারোটি খুনের ঘটনা ঘটিয়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল কুখ্যাত এই সিরিয়াল কিলার।

তবে এই সিরিয়াল কিলারদের তালিকায় রয়েছেন এক নারীও। তিনি যেমন ভয়ংকর, তেমনই সুন্দরী। এলিজাবেথ বাথরি নামে সিরিয়াল কিলার, তাঁর কুকর্মের দ্বারা ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন বলে মনে করা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী সিরিয়াল কিলারের খেতাবপ্রাপ্ত। যিনি সিরিয়াল কিলার তো বটেই, নৃসংশতার চরমে পৌঁছেছিলেন। যা ইতিহাসে বিরল। রক্ষক হয়েও ভক্ষকের ভূমিকাই বেশি পালন করেছিলেন এই রানি। হাঙ্গেরির রানি ছিলেন এলিজাবেথ বাথোরি, যিনি সৌন্দর্য ধরে রাখতে হয়েছিলেন সিরিয়াল কিলার।

fallbacks

এলিজাবেথ নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখার ন্য ৬০০ কুমারী নারীর রক্ত পান করেছিলেন। ইতিহাসবিদরা মনে করেই এই সংখ্যা হাজারেরও বেশি। শুধু তাই নয়, সেই রক্তে তিনি স্নান করতেন, এমনকি তাদের মাংসও খেতেন। তিনি ছিলেন যেমন বদমেজাজি, তেমনি হিংস্র আর অত্যাচারী। এলিজাবেথ বিশ্বাস করতেন, কুমারী মেয়েদের রক্ত তাকে চিরযৌবনা রাখবে। আর তাই একের পর এক কুমারীকে হত্যা করতেন তিনি। ইতিহাসে আলোচিত এই সিরিয়াল কিলার পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যার খুনী ছিলেন। যিনি ব্লাড কাউন্টেস বা কাউন্টেস ড্রাকুলা নামেও পরিচিত।

আরও পড়ুন:Unknown facts: চোখ তো খোলাই থাকে, জলের নিচে মাছেরা কি ঘুমায়?

এলিজাবেথের জন্ম ১৫৬০ সালের ৭ আগস্ট হাঙ্গেরির ট্রান্সিলভেনিয়ায় এক অভিজাত পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই এলিজাবেথ ছিলেন খিটখিটে আর বদমেজাজি। যদিও সম্ভ্রান্ত পরিবারে বেড়ে উঠেছিলেন তিনি। সেখানে কখনও কোনও অত্যাচারের শিকার হতে হয়নি তাকে। ছোট থেকেই অত্যাচারী মনোভাবের। অন্যের মৃত্যু যন্ত্রণা দেখে তিনি তৃপ্ত হতেন। খুব অল্পতেই তার রেগে যেতেন। খিঁচুনি আর মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে তিনি এমন হয়েছেন বলে মনে করেন অনেক ইতিহাসবিদ।

জানা যায়,  মাত্র ১৩ বছর বয়সে মা হন এলিজাবেথ। এরপর ১৫ বছর বয়সে ফেরেন্স নাডাসডি নামে এক উচ্চবংশীয় লোকের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ফেরেন্স ছিলেন হাঙ্গেরির রাজ্যের সেনাপতি। স্বামী ফেরেন্সের মৃত্যুর পর এলিজাবেথ আরও বেশি নৃশংস হয়ে ওঠে। সে মেয়েদের নখে, ঠোঁটে, গালের নিচে সুঁই ফুটিয়ে রাখত, শরীর থেকে মাংস কেটে নিত। এলিজাবেথ এভাবেই ক্ষান্ত হয়নি। অনেক পুরুষের জীবনও নিয়েছে। বিয়ের আগে এবং তার স্বামীর মৃত্যুর পর অসংখ্য পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More