জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মধুচন্দ্রিমা শেষ! অবশ্য মধুচন্দ্রিমা কি আর সেভাবে বলা যায়? সম্পর্কটা তো অনেকদিন গড়াল। নতুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইলন মাস্কের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক এক নতুন পর্ব। আর সেখানেই যত বিপত্তি এবার। কী বিপত্তি? মাস্কের সঙ্গে আর তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলে এবার সাফ জানিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাস্ককে হুঁশিয়ারিও দিলেন যে, তিনি (মাস্ক) যদি ডেমোক্রেটিক প্রার্থীদের পিছনে টাকা ঢালেন, তবে তার পরিণতি হবে ভয়ংকর হবে।
মাস্ক-ট্রাম্প সম্পর্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সমর্থন করা এবং তাঁর হয়ে সর্বতোভাবে প্রচার করা-- একদা সবই করেছিলেন বিশ্বের সব থেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। খালি হাতে অবশ্য কিছুই নেননি ট্রাম্প। বন্ধুত্বের প্রতিদানে ট্রাম্পও মাস্ককে উজাড় করে দিয়েছিলেন ভালবাসা। এবং শুধু ভালোবাসাই নয়, সমর্থন, সহায়তা। মাস্ককে নিজের পাশে রাখতে আস্ত নতুন এক প্রশাসনিক দফতরই তৈরি করে ফেলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
টোল খেল বন্ধুত্ব
কিন্তু আশ্চর্যের যে, এমন সম্পর্ক বেশিদিন টিকল না। টোল খেল হরিহর আত্মা এই বন্ধুত্ব। হঠাৎই দুজনের মধ্যে জন্ম নিল চরম তিক্ততা। এতটাই যে, ট্রাম্প তাঁর পুরনো বন্ধুকে হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিচ্ছেন!
এই বন্ধুত্ব ভাঙার পরে কি ইলন মাস্ক ট্রাম্পের শত্রুপক্ষ ডেমোক্রেটিকদের সমর্থন করবেন? তাদের জন্য টাকা ঢালবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রেসিডেন্ট বেজায় রেগে বলেন, 'যদি ও তাই করে, তবে ওকে এর জন্য চরম মূল্য চোকাতে হবে।'
ফের কি কখনও মাস্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল হতে পারে?
এই প্রশ্নেও ট্রাম্পের স্পষ্ট জবাব, 'না'। টেসলা-কর্তার সঙ্গে তাঁর সব সম্পর্ক শেষ এবং তিনি ইলন মাস্কের সঙ্গে কথাও বলতে চান না। ট্রাম্পের সোজা কথা, আমার আরও অন্য অনেক কাজ আছে।'
ট্রাম্প কেন এত রাগলেন মাস্কের উপর?
অনেকগুলি ইস্যু আছে। প্রথম সংঘাত ট্রাম্পের 'বিগ বিউটিফুল বিল' নিয়ে। এই বিল নিয়েই ইলন মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের অবনতি। সেই বিল আরও বেশি সমর্থন নিয়েই সেনেটে পাশ করবে বলে আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও রয়েছে এপস্টেইন ফাইল-পর্ব। সেই সূত্রে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন, 'ইলন আমায় অসম্মান করেছে।' কেন? এপস্টেইন ফাইলে ট্রাম্পের নাম রয়েছে, এই দাবি করেছিলেন ইলন মাস্ক। একদিন পরে যদিও সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে। বিষয়টা মোটেই ভালভাবে নেননি ট্রাম্প। ইলন মাস্ককে যৌন অপরাধী জেফারি এপস্টেইনের সঙ্গে জুড়ে প্রেসিডেন্ট পদকেই অপমান করেছেন ইলন মাস্ক, এমনই দাবি ট্রাম্পের। তিনি বলেন, 'তুমি প্রেসিডেন্টের অফিসকে অপমান করতে পারো না। এগুলো পুরনো খবর। এপস্টেইনের আইনজীবীও আমায় নিরাপরাধ বলেছে।'
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)