জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আতঙ্ক কাটিয়ে জনজীবন যখন স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সেইসময় ফের কেঁপে উঠল তুরস্কের হাতায়। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী নতুন করে হওয়া ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩ জনের। আহত ছশোর বেশি। সোমবার রাত ৮টা ৪ মিনিট নাগাদ হওয়া ওই কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৪। জানা যাচ্ছে পরপর ৩২ বার কেঁপে ওঠা হাতায়-সহ সন্নিহিত অঞ্চল। তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়া ও লেবাননেও ওই কম্পন অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন-শিশুদের মধ্যে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, চরিত্র বদলে ভয়াল হয়ে উঠছে অ্য়াডিনোভাইরাস!
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু জানিয়েছেন, নতুন করে ভূমিকম্পের পর ফের তল্লাশি ও উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। মোট তিনটি জায়গায় যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। যে তিন জন নিহত হয়েছেন তারা হাতায় প্রদেশের আনতাকিয়া, দেফনে ও সামানদাগি প্রদেশের বাসিন্দা। ভূমিকম্পের উত্পত্তিস্থল ছিল হাতায়ের দেফনে। সিরিয়া, জর্ডন, ইস্রায়েল, মিশরেও কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে।
হাতায়ের মেয়র লাতফু সেবাস জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি বাড়িতে অনেকে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এখনওপর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
মুনা আল ওমর নামে এক ব্যক্তি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, আন্তাকিয়ার এক পার্কের তাঁবুতে ছিলাম। হঠাত্ মাটি কাঁপতে লাগল। মনে হচ্ছিল মাটি দুভাগ হয়ে যাবে। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা।
উল্লেখ্য, এখনওপর্যন্ত তুরস্কের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১, ১৫৬। দেশের কমপক্ষে ৩,৮৫,০০০ বাড়ি হয় ভেঙে পড়েছে নয়তো বসে গিয়েছে।
ভূমিকম্প থেকে বাঁচলেও বহু মানুষের আশ্রয় এখন তাঁবুতে। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় তাদের আশ্রয় এখন আশ্রয় শিবিরে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোহান জানিয়েছেন, ভূমিকম্প বিদ্ধস্ত ১১টি শহরে মোট ২ লাখ বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হবে আগামী মাসে।