জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কা বলেছেন যে রাশিয়ার সৈন্যরা তার দেশের উপর চলতে থাকা আগ্রাসনে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে। জেলেনস্কা যুদ্ধের সময় যৌন হিংসা মোকাবিলায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে লন্ডনে বক্তব্য রাখছিলেন। ৪৪ বছর বয়সী জেলেনস্কা আরও দাবি করেছেন যে রাশিয়ান সেনাদের স্ত্রীরা তাদেরকে উৎসাহ দিচ্ছেন ইউক্রেনীয় মহিলাদের ধর্ষণ করার জন্য।
ব্রিটিশ নিউজ আউটলেট জানিয়েছে, জেলেনস্কা, যিনি ৪৪ বছরের ইউক্রেনিয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির স্ত্রী, হানাদারদের দ্বারা ‘পরিকল্পিতভাবে এবং প্রকাশ্যে’ যৌন হিংসার বিষয়ে কথা বলেছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে তার দেশে যুদ্ধ চলছে।
তিনি বলেন, ‘যৌন হিংসা হল কারোর উপর কর্তৃত্ব প্রমাণ করার সবচেয়ে নিষ্ঠুর এবং সবচেয়ে পাশবিক উপায়। পাশাপাশি এই ধরনের হিংসার শিকারদের পক্ষে যুদ্ধের সময় সাক্ষ্য দেওয়া কঠিন কারণ তারা কেউ নিরাপদ বোধ করেন না’।
আরও পড়ুন: লজ্জা! ৪০০-৫০০ শ্রমিকের কফিনে দাঁড়িয়ে বিশ্বজয়ের লড়াইয়ে ৩২ দেশ...
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আরেকটি যন্ত্র যা তারা (রাশিয়ান বাহিনী) তাদের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। এই যুদ্ধ এবং সংঘাতে তাদের অস্ত্রাগারে এটি আরেকটি অস্ত্র। সেইজন্য তারা এটিকে নিয়মিতভাবে এবং প্রকাশ্যে ব্যবহার করছে’।
পাশপাশি তিনি যোগ করেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে রাশিয়ান সার্ভিসম্যানরা এই বিষয়ে খুব খোলামেলা। তারা তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে ফোনে এই বিষয়ে কথা বলে। তাদের ফোন কথোপকথন থেকে আমরা ক্যাপচার করতে পেরেছি’।
জেলেনস্কা জানিয়েছেন, ‘আসলে, রাশিয়ান সেনাদের স্ত্রীরা একে উৎসাহিত করে, তারা বলে, 'যাও, ওই ইউক্রেনীয় নারীদের ধর্ষণ কর, শুধু আমার সঙ্গে এটা শেয়ার কোরো না, আমাকে বোলো না'।
তিনি জানিয়েছেন, ‘এ কারণেই এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত’।
জেলেনস্কা বলেছিলেন যে ‘এটিকে যুদ্ধাপরাধ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সমস্ত অপরাধীদের জবাবদিহি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।