ওয়েব ডেস্ক: গত বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝি স্যোশাল দুনিয়ায় চলছিল অভিনব এক উত্সব। এক বালতি বরফ ভর্তি ঠান্ডা জল মাথায় ঢেলে অপরজনকে চ্যালেঞ্জ জানানো। যদি সেই ব্যক্তি চ্যালেঞ্জে সামিল না হয় তাহলে ALS সংস্থা কে ১০০ ডলার 'শাস্তি' হিসাবে দিতে হবে। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা ব্যক্তিও দান করতে পারেন। কারণ এই অনুদান অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরসিস নামক বিরল রোগের গবেষণা ও সচেতনতায় কাজে লাগবে। এই রকম মহত্ উদ্দেশ্যে সামিল হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব এক বালতি বরফ ভর্তি ঠান্ডা জল নিয়ে।
প্রায় ১৭ মিলিয়ন লোক আইস বাকেট চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করে। এখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে ALS সংস্থা এই অনুদান কী কী খাতে খরচ করল। ALS সংস্থা জানিয়েছে, ২০ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ দান করছেন ১১.৫ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৩০ কোটি ৪ লক্ষ ৮১ হাজার টাকার ৪০ শতাংশ খরচ করা হয় নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে। বাকি অর্থ ১১.৫ কোটি ডলার ভাগ করা হয় পাঁচটি খাতে অথবা বলা যেতে পারে পাঁচটি বাকেটে।
বাকেট ১- গবেষণার জন্য ৭৭ মিলিয়ন ডলার
অ্যামিট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস। এই অসুখের অপর নাম 'লু গেহরিগ'স ডিসিজ'। এই অসুখে ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্নায়ুকোষ, মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ড। এএলএস আক্রান্ত রোগী দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রাণ হারাতে পারে। গোটা বিশ্বে প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে দুজন এই অসুখে আক্রান্ত হয়। এই গবেষণার জন্য ALS সংস্থা ৭কোটি ৭০ লক্ষ ডলার খরচ করবে।
বাকেট ২- ALS আক্রান্ত রোগী ও তাদের পরিষেবার জন্য ২ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার
ALS আক্রান্ত রোগীদের জন্য যাবতীয় খরচা বহন করা হবে এই অনুদান থেকে। এছাড়াও রোগীদের দেওয়া হবে হুয়িল চেয়ার, হে -মাউন্টেড লেজার , আই প্যাড। ALS আক্রান্ত রোগীদের পরিবারকেও যথাযথ সাহায্য করা হবে।
বাকেট ৩- ALS রোগ সম্বন্ধে সচেতনতা ও শিক্ষার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার
১০ মিলিয়ন ডলার অর্থ খরচ করা হবে ALS নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য। ALS রোগের সচেতনতা বাড়াতে সাধারণ মানুষ থেকে ডাক্তার, গবেষকরা থাকবেন এই কর্মসূচির আওতায়।
বাকেট ৪- তহবিল বৃদ্ধি করার জন্য ৩ মিলিয়ন ডলার
বাকেট ৫- প্রসেসিং ফি-র জন্য ২ মিলিয়ন ডলার