কলকাতা: ঘুম ভেঙেছে। ঘুমে ভেঙেছে লাল পার্টির। বিজেপি-তৃনমূলের দড়ি টানাটানিতে এবার সামিল লাল ঝান্ডার পার্টি সিপিআইএম। প্রেমের বসন্তেই রাস্তা দখলের হুঁশিয়ারি। বিমান বসুর নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সেবার নবান্নে গিয়ে ফিস ফ্রাই খেয়ে এসেছিল, এবার কিন্তু সুরটা উল্টো। কয়েকদিন আগেই দুই তৃণমূল সাংসদ সুদীপ আর তাপসের গ্রেফাতারিতে দিল্লি দাপিয়েছে তৃণমূল। নিরাপত্তা রক্ষীকে ডজ করে একেবারে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ঢুকে গিয়ে হৈ হট্টগোল ফেলে দিয়েছিলেন প্রসূন, দোলা, কাকলিরা। সেই একই কায়াদায় একেবারে জঙ্গি ঢঙে আন্দোলন- নবান্ন অভিযান, হুঁশিয়ারি বামদের।
রাজনীতির মঞ্চে তখনও রোজভ্যালি ছিল এক গোলাপ বাগানই। কেউ তখনও আঁচ করতে পারেননি রোজভ্যালির সঙ্গে জুড়ে যাবে কেলেঙ্কারির কাঁটা। তখনও কেউ বিশ্বাসই করতে পারেননি রোজভ্যালি আসলে একটা কাণ্ড হয়ে আদতে 'ডেভলপিং স্টোরি' হয়ে দাড়াবে।। এখন গোটা দেশ যে রোজভ্যালি কাণ্ড নিয়ে সরগরম, সেই বারুদে প্রথম অগ্নি সংযোগ করেছিলেন সিপিআইএমের দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতা গৌতম দেব। সারদা আর রোজভ্যালি এই দুই জালিয়াতিতেই ফুলে ফেঁপে উঠছে জোড়া ফুল সবার প্রথম তিনিই বলেছেন। "ডেলো তে কী কেলো করেছেন মমতা?", সারা রাজ্যে এই হুঙ্কার দিয়েছিলেন যিনি, তিনিই গৌতম দেব। ছাত্র থেকে যুব 'শিরায় শিরায় স্ফুলিঙ্গ' ছড়িয়ে দেওয়া সিপিআইএম নেতা গৌতম দেব ফের আরও একবার সরব রোজভ্যালি কাণ্ড নিয়ে। ঘুমিয়ে পড়া সিপিআইএমের শীত ঘুম ভাঙিয়ে ফের একবার সহমহিমায় লাল ঝাণ্ডার দল বঙ্গাকাশে উদিত হতে চলেছে তাদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচী নিয়ে। "মমতা যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ঢুকছে...মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখছি, ওর ঘরে যেন প্রোটেকশন থাকে।"