ওয়েব ডেস্ক: পড়ুয়াদের জন্য কতটা উপযোগী পুলকার, এবার তা ঠিক করবেন অভিভাবকরাই। এমনটাই নিয়ম জারি করল রাজ্য সরকার। কমার্শিয়াল লাইসেন্স পেতে গেলে কম পক্ষে দশজন অভিভাবকের থেকে সার্টিফিকেট জোগাড় করতে হবে পুলকার মালিকদের।
পরপর পুল কার দুর্ঘটনা। ২৪ জুন, পরমা ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে পড়ুয়া বোঝাই পুলকার। ছাত্রীরা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও মৃত্যু হয় চালকের। ১জুলাই, বেলগাছিয়ায় পুলকার দুর্ঘটনায় জখম হয় আট পড়ুয়া। সম্প্রতি পর পর পুলকার দুর্ঘটনার জেরে কড়া পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপোষ করা হবে না। পুলকার গুলির ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নতুন নিয়ম বেঁধে দেয় সরকার।
১০ বছরের বেশি পুরনো গাড়িকে পুলকার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। ১০০০ সিসি বা তার বেশি শক্তি সম্পন্ন ইঞ্জিনের গাড়িকেই পুলকার করা যাবে। নিয়ম মেনে চললে সব পুলকারকেই অল-বেঙ্গল কমার্শিয়াল পারমিট দেওয়া হবে। ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে পুলকাগুলিকে পারমিট সংক্রান্ত সব কাজ সেরে ফেলতে হবে।
আর এই নিয়ম কানুনের সঙ্গে অভিভাবকদেরও যোগ করার কথা বলছে রাজ্য সরকার। কোনও গাড়ি পুলকার হিসেবে চলতে পারে কিনা তা ঠিক করবেন অভিভাবকরা।
পুলকারের জন্য অনুমোদনের আবেদনে কমপক্ষে ১০ জন অভিভাবকের সাক্ষর থাকতে হবে।
সরকারের আশা এই নিয়মে বাঁধতে পারলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত করা যাবে পুলকারগুলিকে। তবে গাড়ি মালিকরা এসব নিয়ম কার্যকর করার মেয়াদ ৩১ অক্টোবরের বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন।