তদন্তের নামে প্রহসন। মালদা ধর্ষণকাণ্ডে পুলিসের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠল। নির্যাতিতার দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কথায় চাপ দিয়ে তাঁর বয়ান বদলের চেষ্টা করছে পুলিস। এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁর ওপর চরম মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ নির্যাতিতার।
গত ছ'মাস ধরে মহিলার অভিযোগ নিতে গড়িমসি করলেও, মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই নড়েচড়ে বসে পুলিস। হাসপাতালে অসুস্থ বাবার পাশ থেকে রাতেই থানায় ডেকে পাঠানো হয় নির্যাতিতাকে। রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। নির্যাতিতার অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কথায় বয়ান বদলের জন্য তাঁর ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে পুলিস। পুলিস অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার মধ্যে সম্পর্ক প্রমাণের চেষ্টায় ব্যস্ত থাকলেও, রিন্টু শেখের স্ত্রী কিন্তু বলছেন অন্যকথা।
নির্যাতিতার দাবি, রিন্টু শেখের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল না। একই কথা বলছেন রিন্টুর স্ত্রীও। কিন্তু,তাতে কর্ণপাত করতে রাজি নয় সরকার। এলাকার বিধায়কের মতোই নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজারও দাবি, অভিযুক্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল নির্যাতিতার। বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে ঘটনার মূল অভিযুক্ত রিন্টু শেখকে। কিন্তু, যেভাবে পুলিস প্রশাসন অভিযুক্তের সঙ্গে নির্যাতিতার সম্পর্ক প্রমাণে উঠেপড়ে লেগেছে তাতে তদন্তের ভবিষ্যত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।