ব্যুরো: রায়গঞ্জে বেল আর মাজদিয়ায় জেল। শাসকদলের বিরুদ্ধে ঘুরফিরে ফের উঠছে সেই একই অভিযোগ। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর, অধ্যক্ষকে হুমকি, সব ঘটানাতেই বার বারে নাম জড়াচ্ছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের। অথচ নানা অজুহাতে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন অভিযুক্তরা।
রায়গঞ্জ,মাজদিয়া,ইটাহার, কিম্বা কালীনগর কলেজ। সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে একের পর এক কলেজে হিংষাত্মক সংঘর্ষ, অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। নৈরাজ্যের হিংস্র থাবায় কলুষিত হয়েছে শিক্ষাঙ্গন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম জডিয়েছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনও সাজা হয়নি অপরাধীদের। শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকলে বেকসুর খালাস, বিরোধীদের ক্ষেত্রে কড়া শাস্তির নজির দেখিয়েছে রায়গঞ্জ আর মাজদিয়া। রায়গঞ্জে অধ্যাপক নিগ্রহে অভিযুক্তরা শাসকদলের ছাত্র সংগঠন হওয়ায় সকলেই জামিন পেয়ে যায়। অন্যদিকে একই ঘটনায় মাজদিয়া কাণ্ডে জেল হয় চার এসএফআই সদস্যের।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ও প্রিন্সিপ্যালের ওপর হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। কারুরই কোনও সাজা হয়নি।
ইটাহার কলেজেও তান্ডবের ঘটনায় টিএমসিপির নাম জড়ালেও কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিস।
উত্তর কলকাতার মহারানী কাশেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় উঠেছে খোদ তৃণমূল বিধায়ক শশী পাঁজার নাম। ওই পর্যন্তই। সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি প্রশাসন। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বা ছত্রছায়ায় থাকার কারনেই পুলিস অভিযুক্তদের ছুঁতেও সাহস পাচ্ছে না। অপরাধ করেও বেকসুর খালাস পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা।